বিরোধী দলনেতা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নাম জড়িয়েছে ত্রিপল চুরি কাণ্ডে। থানায় অভিযোগ তেমনই। আর সেচ দফতরের মন্ত্রী থাকাকালীন কাজে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। নবান্ন যার তদন্ত করছে। এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীকে এবার কাঁথি কো–অপারেটিভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানোর দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। সেই বিক্ষোভ দেখা গেল ব্যাঙ্কের মূল ফটকে। শুধু তাই নয় ওই বিক্ষোভে যোগ দিলেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি এবং প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতির্ময় কর–সহ জেলার অন্যান্য তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। সুতরাং খুব শীঘ্রই এই পদ খোয়াতে চলেছেন তিনি বলে মনে করা হচ্ছে।
কিন্তু শুভেন্দুকে এই পদ থেকে সরানোর প্রক্রিয়া কী রাজনৈতিক? নাকি আইনগত? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই বিষয়ে রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরির অভিযোগ, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিয়ম অনুযায়ী কোনও সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদে দু’বার থাকা যায়। তার বেশি নয়। সমবায় আইনের ১১ নম্বর ধারা অনুযায়ী কেউ একটানা তিনবার এই পদে থাকতে পারেন না। কিন্তু ক্ষমতার অপব্যবহার করে শুভেন্দু অধিকারী কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন টানা তিনবার। তাই শুভেন্দুকে এক্ষুনি ওই পদ থেকে সরাতে হবে।
এই বিষয়টি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। প্রাক্তন সমবায় মন্ত্রী জ্যোতির্ময় কর বলেন, ‘আরবিআই–এর ধারা মানছে না সমবায় ব্যাঙ্কের কমিটি। এই ব্যাঙ্কে বেআইনিভাবে কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। নিয়ম ভেঙে ঋণ দেওয়া হয়েছে এবং ঋণ আদায় না হওয়ায় একাধিক ভুয়ো ব্যাখ্যা দিচ্ছে কমিটি।’ ২০০৯ সাল থেকে টানা তিনবার এই সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। ২০১৭ সালে শেষবার চেয়ারম্যান পদে আসীন হন তিনি।
এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, ‘পাগলের প্রলাপ বকছেন।’ ব্যাঙ্কের ভাইস চেয়ারম্যান চিন্তমনি মণ্ডল বলেন, ‘আগের কমিটি ২০০৯ সাল পর্যন্ত প্রায় ৩৮০ কোটি টাকা ক্যাপিটাল রেখে ছিল। এখন সেই ৩৮০ কোটি থেকে এখনকার কমিটি প্রায় ১২০০ কোটি টাকাতে নিয়ে এসেছে। বহু বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থান করেছে।’