পুরোহিত যাচ্ছিলেন যজমানের বাড়ি। সাইকেল নিয়ে রেলগেট পেরিয়ে যাওয়ার সময় পুরোহিতকে ধাক্কা মারে শান্তিপুর লোকাল। তার জেরে সোদপুরের ৮ নম্বর রেলগেটে ছিটকে পড়েন পুরোহিত। প্রচণ্ড চোট লাগায় তিনি নিজে উঠে দাঁড়াতে পারছিলেন না। কিন্তু তখনও শরীরে প্রাণ ছিল। এক ঘন্টা কেটে গেলেও রেলের কেউ ঘটনাস্থলে আসেননি। তাই গুরুতর জখম ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেনি খড়দহ থানার পুলিশও। অবশেষে বৃহস্পতিবার সেখানেই মৃত্যু হল ওই পুরোহিতের।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মর্মান্তিক এই রেল দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সোদপুরে। মৃত ব্যক্তির নাম উৎপল চক্রবর্তী। তিনি পেশায় পুরোহিত। এলাকায় নিত্যপুজো করে দিন চলত তাঁর। আজ যজমানের বাড়ি পুজো করতে বেরিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই পুজো ঈশ্বরের কাছে পৌঁছল না। পৌঁছল স্বয়ং পুরোহিত। রেল গেট পড়ে থাকা অবস্থাতেই পার হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু তখন সজোরে ধাক্কা মারে শান্তিপুর লোকাল। আর তার ধাক্কায় ছিটকে পড়েন পুরোহিত উৎপল।
এলাকাবাসীরা জানান, সোদপুর বঙ্কিমপল্লী বাসিন্দা উৎপল চক্রবর্তী। সঠিক সময়ে রেল পুলিশ যদি তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করত তাহলে তাঁর প্রাণ বেঁচে যেত। রেলের উদাসীনতার অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বাসিন্দারা। রেল লাইনে ছিটকে পড়ার পরও জীবিত ছিলেন উৎপলবাবু। তবে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।
এই দুর্ঘটনার খবর পেয়েও রেল পুলিশ আসতে দেরি করে বলে অভিযোগ। খড়দহ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। কিন্তু কিছু করতে পারছিল না যেহেতু এটা রেল পুলিশের আওতাধীন। রেল পুলিশ এসে পৌঁছলে দু’পক্ষের মধ্যে বাক–বিতণ্ডা হয় বলে অভিযোগ। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল পুরোহিত উৎপলবাবুর। তবে কামারহাটি সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।