দিন কয়েক ধরেই গলসি থেকে আউসগ্রামে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাতির দল। যারফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু ধানের ক্ষেত। গ্রামবাসীরা কোনওভাবে হাতির দলকে তাড়াতে না পেরে বন্দফতরের কর্মীরা সেই কাজ করার চেষ্টা চালাচ্ছে বেশ কয়েকদিন ধরেই। দলে ৪০ থেকে ৫০টি হাতি থাকায় তাদের জঙ্গলের দিকে নিয়ে যেতে গিয়ে যথেষ্টই বেগ পেতে হচ্ছে বনদফতরের কর্মীদের। হাতির দলকে আউশ গ্রাম থেকে বাঁকুড়ার জঙ্গলের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার কারণে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকল হাওড়া থেকে বিহারগামী মিথিলা এক্সপ্রেস। বনদফতরের কর্মীদের পরিকল্পনা রেললাইন ও তারপর জাতীয় সড়ক পার করে হাতের দলকে বাঁকুড়ার জঙ্গলের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। সেই কারণেই দুর্ঘটনা এড়াতে মিথিলা এক্সপ্রেসকে শুক্রবার পারাজ স্টেশনে প্রায় দেড় ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।
এক্সপ্রেস ট্রেনের পাশাপাশি দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয় বেশকিছু লোকাল ট্রেন। ফলে লোকাল ট্রেন গুলি নির্দিষ্ট সময়ের দেরিতে চলাচল করে। হাতি তাড়ানোর পথে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক থাকায় সড়কপথেও এদিন যান চলাচল ব্যাহত হয়। হাতি যাওয়ার রাস্তা ফাঁকা করার জন্য দু'পাশে ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ। সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে রাস্তায় দিন বেশি সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
শেষ খবর পাওয়া অবধি জানা গিয়েছে, খড়ি নদী পার করে সাতফুঁকোর কাছাকাছি হাতির দলকে আনা সম্ভব হয়েছে। টানা কয়েকদিন ধরে লাগাতার হাতির দলকে জঙ্গলে পাঠানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বনদফতরের কর্মীরা। তবে সেই সময় হাতির দল আউসগ্রামের জঙ্গলে ঢুকে পড়ায় তাদের বের করে পুনরায় বাঁকুড়ার জঙ্গলের দিকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন বনদফতরের কর্মীরা। তবে এদিন হাতির দল কে বের করতে তারা সক্ষম হয়েছেন।