২১ জুলাই তৃণমূলের 'শহিদ দিবস'-এর সমাবেশে অংশ নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন এক তৃণমূল কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে খড়গপুরে। মৃত যুবকের নাম বিকাশ টুডু। এলাকার বাকি তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গেই বাসে করে ধর্মতলা গিয়েছিলেন বিকাশ। ফিরছিলেনও সেই একই বাসে। তবে ফেরার পথে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়নজুলিতে পড়ে যায়। এই দুর্ঘটনার জেরেই মৃত্যু হয় বিকাশের। এদিকে দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বহু। জানা গিয়েছে, বাসে মোট ৫৮ জনের মতো যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনার পর তাদের সবাইকেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অনেককেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন অনেকে। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, পুরুলিয়ার বান্দোয়ান যাচ্ছিল ওই বাসটি। বাসে থাকা সব তৃণমূল কর্মী-সমর্থক বান্দোয়ানেরই বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, রূপনারায়নপুরের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল বাসটি। দুর্ঘটনার পর খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার পর খড়গপুর গ্রামীণ থানার পুলিশ ও বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী বাসটিকে উদ্ধার করে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রূপনারায়নপুরের কাছে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে হঠাৎই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়নজুলিতে উলটে যায় বাসটি। সেই সময় সেখানে বেশ জোরে বৃষ্টি হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। এর জেরেই দুর্ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে অনুমান। তবে দুর্ঘটনার কারণ বের করতে তদন্ত শুরু করেছে খড়গপুর গ্রামীণ থানার পুলিশ। এদিকে দুর্ঘটনার পর স্থানীয় তৃণমূল নেতারাও সেখানে যান।
এদিকে অপর এক দুর্ঘটনায় বারাসতে মৃত্যু হয়েছে একুশে জুলাই ফেরত অন্য এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর। মৃত যুবকের নাম কুতুবউদ্দিন মণ্ডল। হরিণঘাটার বাসিন্দা তিনি। তবে কর্মসূত্রে মালয়েশিয়াতে থাকেন। ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে যোগ দিতেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর গ্রামে ফিরেছিলেন কুতুবউদ্দিন। গাড়ি করে এলাকার তৃণমূল সমর্থকদের সঙ্গে ধর্মতলাতেও যান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ শুনে ফেরার পথে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয় তাঁর। রিপোর্ট অনুযায়ী, বাড়ি ফেরার পথে প্রস্রাব করতে গাড়ি থেকে নেমেছিলেন কুতুবউদ্দিন। সেই সময় বারাসত ১১ নম্বর রেলগেটের কাছে বনগাঁ লোকালের ধাক্কা খান তিনি। রক্তাক্ত অবস্থায় কুতুবউদ্দিনকে এরপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণ করেন।