টাকার বিনিময়ে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবিরকে মন্ত্রী করে দেওয়ার নামে প্রতারণায় গ্রেফতার অঞ্জন সরকারের বিরুদ্ধে আসছে একের পর এক অভিযোগ। শুধু হুমায়ুন নয়, একাধিক তৃণমূল নেতাকে ফোন করে বিভিন্ন রকম প্রস্তাব দিয়েছেন এই প্রতারক। অঞ্জনের গ্রেফতারির খবরে একে একে মুখ খুলছেন তাঁরা।
নিজেকে IPACএর কর্মী পরিচয় দিয়ে মন্ত্রিত্বের বিনিময়ে হুমায়ুন কবিরের কাছে ১০ লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন অঞ্জন। তাঁকে ৮৬ হাজার টাকা দিয়েও দিয়েছিলেন হুমায়ুন কবির। তার পর ব্যাপারটি গোলমেলে লাগায় পুলিশে অভিযোগ করেন তিনি। এর পরই অঞ্জনকে মধ্যমগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে মুর্শিদাবাদ পুলিশ। তাঁকে ২ মে পর্যন্ত হেফাজতে নিয়েছে তারা।
আরও পড়ুন: বর্ধমানে স্কুলের বাইরে মদ খেয়ে রাস্তায় পড়ে আছেন বর্ষীয়ান শিক্ষক!
ওদিকে অঞ্জনের গ্রেফতারির পর একাধিক তৃণমূল নেতা তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগে মুখ খুলেছেন। প্রাক্তন বিধায়ক সোহরাব আলি বলেন, ‘আমাকে প্রথমে একবার ফোন করে অঞ্জন। বলে আপনাকে দলের জেলা সভাপতি করে দেব। আমি পত্রপাঠ প্রস্তাব খারিজ করে দিয়ে বলি, এরকম কোনও লোভ আমার নেই। এই সব প্রস্তাব দেওয়ার জন্য আর ফোন করবেন না’। তার পর আমার বাড়িতে ED হানা হয়। তার পর ফোন করে বলে, ‘ইডির ঝামেলা মিটিয়ে দেব। কোনও সমস্যা হবে না। আমি বলি, যত খুশি ED – CBI আসুক। আমার কোনও সমস্যা নেই। আর আপনি এসব কথা বলতে আমাকে আর ফোন করবেন না। তাহলে আমি পুলিশকে জানাতে বাধ্য হবো।’
একই রকম অভিযোগ করেছেন আসানসোলের তৃণমূল নেতা ভি শিবদাসন। তিনি বলেন, ‘আমাকে ফোন করে অঞ্জন বলে, দলের বড় পদ পাইয়ে দেব। আমি বলি সেসব আমার দরকার নেই। যে দিন হওয়ার হবে। ফোন করতে বারণ করি। কিন্তু সে নাছোড়। তার পর পুলিশে জানানোর ভয় দেখাতে ফোন করা বন্ধ করে।’
আরও পড়ুন: বান্ধবীকে 'বিয়ে' করেছিলেন কোন্নগরে সন্তান খুনে অভিযুক্ত মা, আগ্রাতে হানিমুন!
জানা গিয়েছে অঞ্জনের পৈত্রিক বাড়ি আসানসোলের নিয়ামতপুরে। স্থানীয় একটি সংবাদপত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। পরে মধ্যমগ্রামে ফ্ল্যাট কেনেন।