বাবা ছিলেন প্রবাদপ্রতীম ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা, পশ্চিমবঙ্গের কৃষিমন্ত্রী কমল গুহ। পরিবর্তনের পর দল বদলে ছেলে উদয়ন নাম লিখিয়েছিলেন তৃণমূলে। ঘাসফুলের পতাকা হাতে ছেলেকে দেখার আগেই যদিও কপাল করে ইহলোক ত্যাগ করেছিলেন কমলবাবু। গুহ পরিবারের সেই দুর্গে এবার হারের আশঙ্কায় ভুগছেন উদয়ন। ভয় এতটাই যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ভোটে লড়বেন না বলে দলকে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
উদয়ন জানিয়েছেন, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করার ইচ্ছা নেই তাঁর। তাই দল যেন নতুন প্রার্থী খুঁজে নেয়। কিন্তু উদয়নবাবুর এই সিদ্ধান্তের পিছনে দলের ভিতরে ও বাইরে নানা তত্ত্ব উঠে আসছে।
গত সোমবার ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ে কোচবিহারের তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকেই দলের নেতাদের কড়া ভর্ৎসনা করেন তিনি। রবীন্দ্রনাথ ঘোষ থেকে উদয়ন গুহ। বাদ পড়েননি কেউ। এমনকী আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কে কে ভোটে লড়তে চান তাও জানতে চান মমতা।
সূত্রের খবর, কোচবিহারে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ গোটা রাজ্যে বিখ্যাত। সেখানে কোনও নেতা কারও কথা শোনেন না বলে অভিযোগ। এরই মধ্যে সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত এলাকায় তোলাবাজি-সহ দলের নেতাদের বিরুদ্ধে বৈঠকে নানা অভিযোগ করেছিলেন উদয়ন। এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জনগণ তৃণমূল নেতাদের পিটিয়ে চামড়া গুটিয়ে নেবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
উদয়নবাবুর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের খবর, কোচবিহারে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দে তিনি বলি হতে পারেন বলে অশঙ্কা করছেন উদয়নবাবু। তাই ভোটে দাঁড়াতে চান না তিনি। যদিও দলের আরেকটি অংশের মতে ভোটের বহু আগে ময়দান থেকে সরে গিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দের পরিসর আরও বড় করে দিলেন উদয়নবাবু। যাতে শেষে তাঁকেই টিকিট দিতে বাধ্য হয় দল।