বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে ফের বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর রাজনৈতিক বক্তব্য পেশকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হল। এর আগেও তিনি নাম না করে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে বিঁধেছিলেন। আর এবার বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘অতিরিক্ত খেলে বদহজম হয়। তারই প্রতিফলন এখন দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে।’
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাসনা গৃহে বসে উপাচার্যের এরকম মন্তব্যকে ঘিরে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। উপাচার্য কেন এ ধরনের মন্তব্য করলেন তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়ারা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্ব বিদ্যালয়ে বৈতালি, উপাসনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান চলে। বিশ্বভারতীর উপাসনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি রাজনীতি করি। যারা সমাজবিজ্ঞানের ছাত্র তারা জানেন গণতন্ত্র বলতে কী বোঝায়। সরকার মানেই বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল।’ আর তারপরেই তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে অনেক সময় বদ হজম হয়ে যায়। যার প্রকাশ এখন আপনারা দেখতে পাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে একটা প্রতিবাদ তৈরি হয়েছে। সেটাই রাজনীতি। গুরুদেব তাই করেছেন। তিনি বলতেন হিন্দু মুসলিমের বিভেদ করো না। এটাও একটা রাজনীতি।’
উপাচার্যের এরকম মন্তব্যের পরেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক. যদিও তাতে বিশেষ গুরুত্ব দিতে রাজি নন উপাচার্য। তিনি বলেন, ‘আমার মন্তব্য সবার মনের মত নাও হতে পা।রে অনেকেই প্রতিবাদ করতে পারেন।’ উল্লেখ্য, এর আগে ডা. সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবক্ষ মূর্তি তৈরি হয়েছিল। সেই মূর্তি উন্মোচন করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তা নিয়েও বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নাম না করে অনুব্রতকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘উনি কখনও বিশ্বভারতীর ভালো চান না। অপমান করেই আনন্দ পান।’