এর আগেও এক অধ্যাপিকার নিয়োগ ইস্যুতে সাসপেন্ড করা হয়েছিল তাঁকে। প্রায় ৯ মাস ধরে সেই সাসপেনশন চলছে। ফের অর্থনীতির সেই অধ্যাপককে সাসপেন্ড করল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে শোকজ করেছে বিশ্বভারতী। ক্য়াম্পাসের মধ্যে সম্প্রতি ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনে পাশে থাকতে দেখা গিয়েছিল বিশ্বভারতীর এই অধ্য়াপককে। এরপরই তাঁকে শোকজ করা হয়েছে। ক্যাম্পাসের মধ্যে আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করা ও নিয়ম বহির্ভূতভাবে সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি মুখ খুলেছেন এই অভিযোগ তুলে তাঁকে ফের শোকজ করা হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি বিশ্বভারতীর তিনজন পড়ুয়াকে বহিষ্কার করাকে কেন্দ্র করে ক্য়াম্পাসে উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। দিনের পর দিন ধরে আন্দোলনে নেমেছিলেন পড়ুয়ারা। শেষ পর্যন্ত হাইকোর্ট রায় দিয়েছে, বহিষ্কৃত পড়ুয়াদের ক্লাসে ফেরাতে হবে। এদিকে আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গেই ওই অধ্য়াপকও রিলে অনশনস্থলে গিয়েছিলেন বলে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে। কার্যত তার জেরেই এবার ওই অধ্যাপকের কাছে কারণ জানতে চেয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এদিকে বিশ্বভারতীর ওই অধ্যাপককে ফের শোকজ করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়েছে বিভিন্ন মহলে।
তবে বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, এর আগে পাঠভবনের এক অধ্যাপিকা নিয়োগের ক্ষেত্রে বেনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন সুদীপ্ত ভট্টাচার্য। বিশ্বভারতীর আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী সহ বিভিন্ন মহলে তিনি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার আগেই তা প্রকাশ্যে আনার জেরে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। সেই সাসপেনশন সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। তার মধ্য়েই ফের শোকজ অধ্যাপককে। প্রশ্ন উঠছে তবে কি আন্দোলন দমন করতে এবার অধ্যাপককে ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছে বিশ্বভারতী?