দার্জিলিংয়ে দাঁড়িয়ে CAA-কে হাতিয়ার করে ফের একবার পাহাড়ে প্রাসঙ্গিক হওয়ার মরিয়া চেষ্টা চালালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার তৃণমূলের সভা থেকে আক্রমণ করলেন অমিত শাহের মঙ্গলবারের চ্যালেঞ্জকে। সঙ্গে বিজেপির দিকে আঙুল তুলে বললেন, প্রত্যেক বাক গোর্খাল্যান্ডের গাজর দেখিয়ে পাহাড়ের ভোট নিয়ে যায় বিজেপি। তার পর ৫ বছর আর তাদের দেখা মেলে না।
বুধবারের সভাতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলা ছিল একই রকম চড়া। এদিন একযোগে বিজেপিকেই আক্রমণ করে যান তিনি। সিপিএম বা কংগ্রেসের নামও মুখে আনেননি তিনি। মমতা বলেন, CAA-র মাধ্যমে দেশ থেকে ভাল মানুষদের তাড়িয়ে বাইরের দেশের খারাপ মানুষদের নাগরিকত্ব দিতে চাইছে মোদী সরকার। একই সঙ্গে প্রশ্ন তোলেন, উত্তরপূর্বের সমস্ত পাহাড়ি রাজ্যকে CAA-র বাইরে রাখা হলে দার্জিলিং পাহাড়কে রাখা হল না কেন?
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরাই শুধু NPR নিয়ে বৈঠকে যোগ দিইনি। NPR হল NRC-র প্রথম ধাপ। NPR, NRC, CAA সব একই জিনিস।
অমিত শাহের গতকালের মন্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করে মমতা বলেন, ‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আমাদের জ্ঞান দিচ্ছে। আমরা না কি মিথ্যে বলেছি। আমরা যদি মিথ্যে বলে থাকি তাহলে সত্যিটা কী?’ মমতার প্রশ্ন, NPR-এর ফর্মে বাবা – মায়ের জন্মতারিখ চাওয়া হয়েছে এটা কি ভুল? CAA-তে নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়ের মানুষকে বঞ্চিত করা হয়েছে সেটা কি ভুল? CAA-র অধীনে নাগরিকত্ব দাবি করলে ৫ বছর তাকে বিদেশি হয়ে থাকতে হবে এটা কি ভুল?
মমতার দাবি, NPR-এর ফর্মে যে মা-বাবার জন্মতারিখ রয়েছে তা পূরণ বাধ্যতামূলক নয় বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু তা সত্যি নয়। আইনে থাকলে তা মানতেই হবে। এসব আমাদের বোঝানোর চেষ্টা করবেন না।
এদিনও ফের পশ্চিমবঙ্গে NPR হবে না বলে হুঙ্কার ছোড়েন মুখ্যমন্ত্রী। বোঝানোর চেষ্টা করেন তিনিই পাহাড়ের প্রকৃত বন্ধু।
এদিনের সভার আগে দার্জিলিংয়ে পদযাত্রা করেন মমতা। সেই পদযাত্রায় হাজির ছিলেন পাহাড়ের ১৫টি জনজাতি বোর্ডের সদস্যরা।