জোড়া নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণবঙ্গের বহু গ্রাম ইতিমধ্যে প্লাবিত। বাঁধ ভেঙেছে মহেশতলার হেতেলখালি, পাথরপ্রতিমা, মৌসুনিতে। জলের তলায় ঘাটাল, সাগর, সুন্দরবন, বাঁকুড়া, শালবনি, কাকদ্বীপ, নামখানার বহু এলাকা। কিন্তু এখনও বৃষ্টি থামার কোনও ইঙ্গিত দেয়নি আবহাওয়া দফতর। তাই একে করোনা, তার ওপর এই পরিস্থিতিতে কিছুটি উদ্বিগ্ন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি বৃষ্টির জেরে উদ্ভুত বর্তমান এই পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপ না হয়, সেদিকে নজর দিতে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসনকে।
তিনি এদিন বলেন, ‘আমাদের রাজ্যে বন্যার সমস্যা আছে। ডিভিসি থেকে জল ছাড়তেই পারে তাই আগে থেকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। রাজ্যের যে সব জেলা বন্যাপ্রবণ, সেই সব জেলা ঘুরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সকলকে পদক্ষেপ করতে হবে।’ ঘূর্ণিঝড় আমফানের পর ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলিতে বাঁধ মেরামত করা হয়। কিন্তু তার পরেও বাঁধ ভাঙছে কেন, বৈঠকে সেই প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে, এদিন রাজ্যের সর্বত্র বেহাল রাস্তার অবস্থা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ‘আইআরবিসি টোল পাচ্ছে। তবু কেন মেরামতি করা হচ্ছে না? তাদের এই বিষয়টি দেখা উচিত।’ এর পরই তিনি বলেন, ‘নবান্নে আসার পথে দেখলাম একটা রাস্তায় পিচ উঠে গেছে। কোন রাস্তা খারাপ, কোথায় জল জমছে, তা গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।’
জানা গিয়েছে, নবান্ন সভাঘর থেকেই কাল, মঙ্গলবার আরও ৫ জেলার আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলাগুলি হল পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া।