গত এক সপ্তাহ যাবৎ পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণে দুই রাজ্য হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় করোনা আক্রান্তের দ্রুত সংখ্যাবৃদ্ধি প্রশাসনের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।
এর আগে থেকেই কলকাতা, হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগনা রেড জোন ঘোষিত হওয়ার কারণে প্রশাসনের কানে বিপদঘণ্টি বাজিয়েছে। গত ৯ মে পর্যন্ত পাওয়া রিপোর্টে ১,৭৮৬ জন রোগীর মধ্যে ৯.৮৫% এই তিন এলাকার বাসিন্দা জানা গিয়েছে। একমাত্র আশার আলো জ্বেলেছে আর এক রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত জেলা পূর্ব মেদিনীপুর, যেখানে সম্প্রতি কনটেইনমেন্ট এলাকার সংখ্যা কিছু কমেছে।
রাজ্য সরকারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘গত এক সপ্তাহে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় কনটেইনমেন্ট এলাকা একধাক্কায় এক থেকে তিরিশে পৌঁছেছে। পাশাপাশি, এক সপ্তাহে হুগলিতে কনটেইনমেন্ট এলাকার সংখ্যা ৪০ থেকে বেড়ে ৭১ হয়েছে।’
পরিস্থিতি বিচার করে উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তিনটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠিয়ে কনটেইনমেন্ট এলাকা শনাক্ত করার কাজে নেমেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কলকাতা ও হাওড়া-সহ পাঁচ জেলার দৈনিক রিপোর্ট সংগ্রহ করার কতাজ শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, প্রতিটি বিশেষজ্ঞ দলে থাকছেন ৪ জন চিকিৎসক, যাঁরা সকলেই গোষ্ঠীভিত্তিক চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ। বিশেষজ্ঞ দলের কাজ হবে মান নিয়ন্ত্রণ করা এবং কনটেইনমেন্ট এলাকায় আগে থেকেই বহাল করা দলের কাজ তত্ত্বাবধান করা।
পাশাপাশি, হাই-রিস্ক রোগীর দেহের তাপমাত্রার নমুনা সংগ্রহ, শ্বাসকষ্ট ও ইনফ্লুয়েঞ্জা সদৃশ উপসর্গ দেখা দিয়েছে, এমন রোগীদের পরীক্ষা করা এবং সাপ্তাহিত রিপোর্টের ভিত্তিতে কনটেইনমেন্ট এলাকায় যথাযথ নিয়মাবলী পালন করা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা।
পশ্চিমবঙ্গে এই মুহূর্তে কমপক্ষে ৫৬৬টি কনটেইনমেন্ট এলাকা রয়েছে। এর মধ্যে কলকাতায় রয়েছে ৩২৬টি এলাকা, উত্তর ২৪ পরগনায় ৯২টি এলাকা, হাওড়ায় ৭৬টি এলাকা, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৩০টি এলাকা এবং হুগলিতে ২৩টি এলাকা।