ফের হাতির হানায় মৃত্যু হল এক যুবকের। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন তাঁর স্ত্রী। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রামে। এর আগেও ঝাড়গ্রামে হাতির হানায় অনেকের অনেক সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। প্রশাসনকে জানিয়েও কিছু কাজ হয়নি। স্বভাবতই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
জানা গিয়েছে, নিহত ওই যুবকের নাম জয়দেব কিস্কু। জয়দেব ও তাঁর স্ত্রী ঝাড়গ্রাম পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে নতুন বস্তি এলাকায় বাড়ি তৈরি করে থাকছিলেন। সোমবার ভোরে স্ত্রীকে সাইকেলের পিছনে নিয়ে ঝাড়গ্রাম বাজারে কাজে যাচ্ছিলেন জয়দেব। সেই সময় বাড়ির সামনে ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে থাকা দুটি হাতি জয়দেবের সামনে চলে আসে। সাইকেল থেকে ঝাঁপ দিয়ে কোনওক্রমে পালিয়ে বেঁচে যান জয়দেবের স্ত্রী। হাতি দুটি জয়কে পা দিয়ে পিষে চলে যায়। সাইকেলটিকেও দুমড়ে মুছড়ে দেয় হাতি দুটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় জয়ের। হাতি দুটি চলে যাওয়ার পর আশেপাশের বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছিলেন ঠিকই, কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। জানা গিয়েছে, জয়দেবের নিজের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূম জেলায় চাকুলিয়ায়।
এই ঘটনার পর কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ ও বনদফতরের কর্মীরা চলে আসে। পুলিশ জয়ের দেহকে উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়। বনদফতরের তরফে মৃতের পরিবারকে সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। যেভাবে ঝাড়গ্রাম পুর এলাকার মধ্যে হাতির আক্রমণে এক যুবকের মৃত্যু হল, তাতে এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। কিছুদিন ধরেই বনদফতরের কাছে খবর আসছিল, ঝাড়গ্রাম লাগোয়া সাপধরা গ্রাম পঞ্চায়েতের কুন্ডলডিহি এলাকায় তাণ্ডব চালাচ্ছে হাতির দল। গত পাঁচ সাত দিন ধরে তাণ্ডব চালাচ্ছিল তারা। ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা থেকে শুরু করে ফসলের ক্ষতিও করেছে। এরপরই খোদ ঝাড়গ্রাম শহরে হাতির আক্রমণে যুবকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। স্বভাববতই বনদফতরের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠল।