বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক হল। অমিত শাহের অফিসে রাজ্যপালের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক হয়। ১০০ দিনের কাজের টাকা বকেয়া নিয়ে রাজভবনের সামনে তৃণমূল কংগ্রেস ধরনায় বসেছিল। তারপর তাঁদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক হয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করার পরই নয়াদিল্লি রওনা দেন রাজ্যপাল। আজ, মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেসের ধরনা নিয়ে রিপোর্ট দিয়েছেন রাজ্যপাল বলে সূত্রের খবর। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়েও রিপোর্ট দিয়েছেন রাজ্যপাল। তবে বাংলার মানুষের বকেয়া নিয়ে উদ্যোগ নিতেই রাজ্যপালকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
এদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে কোনও মন্তব্য করেননি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তবে সোমবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যে বৈঠক হয়েছিল তা নিয়েও রাজ্যপাল কোনও মন্তব্য করেননি। তবে রাজভবন একটি বিবৃতি ইস্যু করেছিল। তাতে রাজ্যের জন্য যা ভাল হয় সেটাই করার কথা উল্লেখ ছিল। তারপরই আজ সকালে শাহের দফতরে তাঁর বৈঠক নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তাহলে কি সদর্থক কিছু বেরিয়ে এল? উঠছে প্রশ্ন।
অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। তার মধ্যে সদুত্তর না পেলে ফের হবে আন্দোলন। যার নেতৃত্ব দেবেন খোদ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে রাজ্যপাল–স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলের দাবিদাওয়া নিশ্চয়ই জানিয়েছেন রাজ্যপাল বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু এই সমস্যার সমাধান কি অমিত শাহ করতে পারবেন? উঠছে প্রশ্ন। কারণ বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে নয়। তাই এই সমস্যার সমাধান করতে হলে রাজ্যপাল সরাসরি কথা বলতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কিংবা গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহর সঙ্গে। কিন্তু রাজ্যপাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার বিষয়টিতেই নতুন করে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: অন্য ধাঁচে হতে চলেছে বিজেপির দুর্গাপুজো, ইজেডসিসি’তে দলীয় নাম বাদ যাচ্ছে
তবে রাজ্যপাল যে উদ্যোগ নিয়েছেন তার জন্য ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ঠিক কী লিখেছেন অভিষেক? আজ, মঙ্গলবার একটি টুইট করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি রাজ্যপালকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখেন, ‘আমি হৃদয় থেকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার জন্য। বাংলার মানুষের কল্যাণে তাঁর উদ্যোগ প্রশংসনীয়। বাংলার ২১ লাখের বেশি পরিবার আজ ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত (মনরেগা)। তার জন্য যে দ্রুত উদ্যোগ সেটার জন্য শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’