গত ২০ মে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ৩১ শতাংশ ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। কিন্তু সেটা করেনি রাজ্য সরকার। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো গত ১৯ অগস্টের মধ্যে বকেয়া ৩১ শতাংশ ডিএ মিটিয়ে দেওয়া হয়নি। হাই কোর্টের সেই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে। সেই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। সরকারি কর্মীদের আশা, মামলার রায় তাঁদের পক্ষেই যাবে। সঙ্গে রয়েছে আশঙ্কা, সরকার এবার ডিএ মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে না যায়...
1/5বৃহস্পতিবার ডিএ মামলার শুনানিতে সরকারের তরফে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, রোপা রুল অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা ইতিমধ্যেই মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে হলফনামা জমা দিয়েও হাই কোর্টে রাজ্য সরকার দাবি করেছিল, কর্মচারীদের কোনও মহার্ঘ ভাতা বকেয়া নেই। ফাইল ছবি
2/5এদিকে শুক্রবার শুনানির শেষ দিনে সরকারি কর্মচারীদের পক্ষের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘আদালত অত্যন্ত সচেতন হয়েই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল কর্মচারীদের অধিকারের দিকে তাকিয়ে। রাজ্য ডিএ না দিয়ে অকারণ সময় নষ্ট করছে। ডিভিশন বেঞ্চ তিন মাসের মধ্যে ডিএ দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।’ ফাইল ছবি
3/5বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘ডিএ দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে কোনও বৈষম্য করা চলে না। দিল্লির বঙ্গভবনে কর্মরত রাজ্যের কর্মচারী যদি কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পান, তাহলে অন্যান্যদের ও অধিকার ওই হারেই ডিএ পাওয়ার। আইন অনুযায়ী মূল্যবৃদ্ধির নিরিখে মহার্ঘ ভাতা পাওয়া কর্মচারীদের অধিকার। কেন্দ্র-রাজ্য প্রত্যেক বছর মূল্যায়নের ভিত্তিতে মহার্ঘ ভাতা ঠিক করবে সেটাই আইন। ফলে এখানে নির্দেশের রিভিউ করার কোনও জায়গাই নেই।’
4/5কলকাতাএই আবহে সরকারি আইনজীবী জানান, রাজ্যের যে কর্মচারীরা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পাচ্ছেন তাদের থেকে সেটা ফেরত নেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু সবাইকে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়া সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় হার অনেক বেশি। রাজ্য সামর্থ্য মত ১৬ শতাংশ ডিএ ইতিমধ্যে দিয়ে দিয়েছে। ছবি সৌজন্য : পিটিআই
5/5এরই মাঝে ডিএ-র বিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী একটি ফেসবুক পোস্ট করে লেখেন, ‘আইনি প্রক্রিয়ায় দাবি আদায়ে অনেকদিন লাগবে। রিভিউ পিটিশনে উচ্চ আদালতের রায়ের পর সরকার হয়ত সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে। তাই আন্দোলনের তীব্রতা বাড়িয়ে সরকারের উপর আরও চাপ বাড়াতে হবে। এভাবেই আমাদের দাবি আদায় করতে হবে।’ (ছবি সৌজন্যে ফেসবুক)