সম্প্রতি হলফনামা জমা দিয়ে হাই কোর্টে রাজ্য সরকার দাবি করেছিল, কর্মচারীদের কোনও মহার্ঘ ভাতা বকেয়া নেই। সেই অবস্থানে অনড় থেকেই বৃহস্পতিবার ডিএ মামলার শুনানিতে সরকারের তরফে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানালেন, রোপা রুল অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা ইতিমধ্যেই মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হচ্ছে। (আরও পড়ুন: বকেয়া DA না মিটিয়ে পুজো অনুদানে অবামাননা? শেষ হল মামলার শুনানি)
আদালতে শুনানি চলাকালীন অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, ‘ডিএ সরকারি কর্মচারীদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার। তবে রোপা রুল অনুযায়ী ১৬ শতাংশ ডিএ ন্যায়সঙ্গত বলে মনে করছে রাজ্য।’ এরপর বিচারপতি সামন্ত বলেন, ‘অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার কথা রাজ্য সরকারের। ডিভিশন বেঞ্চে এমনই রায় দেওয়া হয়েছিল। তার পরও রাজ্যের আবেদন পুনর্বিবেচনার দাবি কি আদৌ গ্রহণযোগ্য?’
আরও পড়ুন: গভীর নিম্নচাপের জেরে জেলায় জেলায় জারি সতর্কতা! বাংলার কোথায়, কবে বৃষ্টি?
গত ২০ মে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ৩১ শতাংশ ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। কিন্তু সেটা করেনি রাজ্য সরকার। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো গত ১৯ অগস্টের মধ্যে বকেয়া ৩১ শতাংশ ডিএ মিটিয়ে দেওয়া হয়নি। হাই কোর্টের সেই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে। এদিকে ইউনিটি ফোরাম, কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ এবং সরকারি কর্মচারী পরিষদ আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করে দুর্গা পুজো অনুদানের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের করে।
আরও পড়ুন: পুজোর আগে বড় ধাক্কা বাংলার সুরাপ্রেমীদের জন্য, বাড়ছে মদের দাম!
এদিকে রাজ্যের পুনর্বিবেচনার প্রেক্ষিতে হাই কোর্টের বেঞ্চ আগেই জানিয়েছিল, এই মামলার পূর্বতন রায়ের পুনর্বিবেচনার সুযোগ কম। এই আবহে গতকাল শুধু সরকার পক্ষ আদালতের সামনে নিজেদের যুক্তি তুলে ধরে। শুক্রবার এই মামলার শুনানি চলাকালীন রাজ্য সরাকরি কর্মচারীদের সংগঠনের তরফে নিজেদের বক্তব্য পেশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।