সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপচার্য রয়েছে সেগুলিতে অবিলম্বে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করতে হবে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে স্থায়ী উপাচার্যের তালিকা তৈরি করেছে রাজ্য শিক্ষা দফতর। মঙ্গলবার বিধানসভায় এই তথ্য জানিয়েছেন, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের এক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'আগামী ১ ডিসেম্বর স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে উঠতে পারে। আমরা ৩১ জনের একটি তালিকা তৈরি করেছি। সেই তালিকা আদালতে জমা দেওয়া হবে। আদালতের অনুমতি পেলে আমরা দ্রুত উপাচার্য নিয়োগ করে ফেলব।' এদিন বিধানসভায় ব্রাত্য জানান, রাজ্যে মোট ৪২টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে রাজ্য সরকার পোষিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্য ৩১। তার মধ্যে স্থায়ী উপাচার্য নেই ২৭ বিশ্ববিদ্যালয়ে।
(পড়তে পারেন। বাজল ২৪-এর দামামা, কাকলি ঘোষদস্তিদারকে জেতাতে ব্রাত্যর 'মোশারফ করিম টোপ')
(পড়তে পারেন। মাধ্যমিক পরীক্ষায় অফিসার ইনচার্জদের বাড়তি দায়িত্ব, উঠছে প্রশ্ন)
প্রসঙ্গত, এর আগে রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল। তা নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাগতের বাইরের কোনও ব্যক্তিকে অস্থায়ী উপচার্য পদ বসানো হয়। তাঁদের মধ্যে একাংশ অভিযোগ করেন কর্মী ইউনিয়নের চাপে তাঁরা কাজ করতে পারছেন না।
শিক্ষা দফতরের অভিযোগ ছিল, তাদের অন্ধকারে রেখে অস্থায়ী উপচার্য নিয়োগ করছিলেন রাজ্যপাল বোস। এর বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে যায় রাজ্য সরকার।
(পড়তে পারেন। পড়ুয়াদের ৪ কিমি ঘুরে যেতে হবে! IIT খড়্গপুরে গেট বন্ধ নিয়ে বিক্ষোভ অভিভাবকদের)
বিষয়টি শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন থাকাকালীন, ১২ জনকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কেন তিনি মামলা বিচারাধীন থাকাকালীন উপাচার্য নিয়োগ করছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত। রাজ্যপালের কাছে এ নিয়ে জবাবও দাবি করে বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ। জট কাটাতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যপালকে বৈঠকে বসারও পরামর্শ দেয় সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ।
পরে সুপ্রিম কোর্ট বলে রাজ্য পোষিত সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে অবিলম্বে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করতে হবে। সেই মতো স্থায়ী উপাচার্যের তালিকা তৈরি করেছে শিক্ষা দফতর। তা বিধানসভায় জানালেন শিক্ষামন্ত্রী।