মিড ডে মিলে খাবারের গুণগত মান নিয়ে প্রায়ই অভিযোগ ওঠে। এবার মিড ডে মিলে ছাত্রদের পাতে শুধু নুন ভাত দেওয়ার অভিযোগ উঠল। এমনই অভিযোগ উঠেছে চুঁচুড়ার একটি বালিকা বিদ্যালয়ে। এই অভিযোগ ওঠার পরেই এক শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তবে পড়ুয়াদের যেদিন নুন ভাত খাওয়ানো হয়েছিল সেদিন ওই শিক্ষিকা স্কুলে উপস্থিত ছিলেন না। এমনই দাবি জানিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন ওই শিক্ষিকা শর্মিষ্ঠা ঘোষ। সেই সংক্রান্ত মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: মিড ডে মিলের তহবিল থেকে ভোটকর্মীদের টাকা দেওয়ার অভিযোগ
ওই শিক্ষিকার দাবি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ তাঁকে বেআইনিভাবে সাসপেন্ড করেছে। শুক্রবার মামলাটি ওঠে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। শর্মিষ্ঠার হয়ে আদালতে মামলা লড়েন আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত। আইনজীবী আদালতে জানান, ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৯ সালে। ওই সময় স্কুল পরিদর্শন এসেছিলেন উচ্চপদস্থ কর্মীরা। তাঁরা দেখতে পান মিড ডে মিলে নুন ভাত দেওয়া হয়েছে। সেই ঘটনার পরেই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা এবং শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। তারপরে শর্মিষ্ঠা ও প্রধান শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করে দেয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। অথচ শর্মিষ্ঠার দাবি, তিনি ঘটনার দুদিন আগে থেকে ছুটি নিয়েছিলেন। শর্মিষ্ঠার অভিযোগ, চার বছর আগে তাঁকে সাসপেন্ড করা হলেও কোনও বিভাগীয় তদন্ত গ্রহণ করা হয়নি। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার সাসপেনশন উঠে যাওয়ায় তিনি এখন কাজে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু শর্মিষ্ঠার ক্ষেত্রে তা হয়নি। সেই সাসপেনশন অনৈতিক দাবি করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহার করার দাবি জানান শর্মিষ্ঠার আইনজীবী।
শর্মিষ্ঠ আইনজীবীর আরও অভিযোগ, কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করতে গেলে সেক্ষেত্রে প্রথমে স্কুলের তরফে জেলা পরিদর্শককে অভিযোগ জানানো হয়। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখার পর জেলা পরিদর্শক মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে রিপোর্ট পাঠান। পরিদর্শকের রিপোর্টের ভিত্তিতেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সিদ্ধান্ত গ্রহণ থাকে। কিন্তু এক্ষেত্রে একজন শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করার জন্য কোনও নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। অন্যদিকে, স্কুলের তরফে আইনজীবী জানান, ওই শিক্ষিকাকে সাসপেনশনের জন্য স্কুলের তরফে কোনও অভিযোগে জানানো হয়নি। জেলা পরিদর্শক নিজেই শিক্ষিকার সাসপেনশন চেয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। আগামী ৪ অগাস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি।