বেআইনি নির্মাণে বুলডোজার চালান। দরকারে যোগী আদিত্যনাথের কাছ থেকে কয়েকটা বুলডোজার ভাড়া করুন। শুক্রবার এক মামলায় এভাবে রাজ্য সরকারকে ভর্ৎসনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিকে একথা বলেন তিনি। মামলায় মানিকতলা থানাকে যুক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, টমামলাকারী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। দরকার হলে যোগী আদিত্যনাথের কাছ থেকে কয়েকটা বুলডোজার ভাড়া করুন। বেআইনি নির্মাণের ওপর বুলডোজার চালান। গুন্ডাদের কী করে শায়েস্তা করতে হয় আমি জানি। গুন্ডাদের কী করে শায়েস্তা করতে হয় তা তো কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখার আধিকারিকরা জানেন। তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ আর পুরসভাকে কিছু বলব না। তাদের চাপের মুখে কাজ করতে হয়।’
২০১৮ সালে মানিকতলা থানা এলাকার একটি বেআইনি নির্মাণের মামলায় বেআইনি অংশ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। আদালতের নির্দেশে বেআইনি অংশ ভেঙে দেয় পুরসভা। অভিযোগ, তার পর ফের ওই অংশে বেআইনি নির্মাণ করে অভিযুক্তরা। অভিযোগ, মানিকতলা থানা জমির মালিকের অভিযোগ গ্রহণ করেনি। ২০২১ সালে ফের আদালতের দ্বারস্থ হন রানু পাল নামে ওই মহিলা। মামলা ওঠে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। ওই বছর ২৬ জুন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় গোটা বাড়িটি ভাঙার নির্দেশ দেয়। সঙ্গে আদালত অবমাননার দায়ে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন তিনি। ডিভিশন বেঞ্চে মামলা গেলে জরিমানার অংক কমলেও রায় বদলায়নি।
অভিযোগ, তার পরেও বেআইনি ওই নির্মাণ ভাঙা হয়নি। এর পর বেআইনি নির্মাণকারী ৩ ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়। শুক্রবার মামলার শুনানিতে এই মামলার সঙ্গে মানিকতলা থানাকে যুক্ত করে তাদের বিরুদ্ধেও আদালত অবমাননার মামলা রুজু করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।