হোটেলে ঢুকে ত্রিপুরায় আইপ্যাকের ২৩ জনের প্রতিনিধিদলকে আটক করেছে বিপ্লব দেব সরকারের পুলিশ। আর তা নিয়ে জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এমনকী এই প্রতিনিধিদের কাজে বাধা দেওয়ার অভিয়োগ উঠেছে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে কালীঘাটের দফতরে পর্যন্ত ফোন আসে। তার জেরে আজ বিপ্লব দেব প্রশাসনকে তুলোধনা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, আইপ্যাকের টিমকে গৃহবন্দি করে রেখেছে ত্রিপুরা সরকার। ভয় পেয়েছে বিজেপি।
ইতিমধ্যে পরিস্থিতি গরম হতে শুরু করেছে। কারণ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই নয়াদিল্লিতে পা রেখেছেন। এমনকী মঙ্গলবার বিকেল ৪টের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। এখন সুর নরম করে ত্রিপুরার পুলিশ জানিয়েছে, কোভিড রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত হোটেল–বন্দি থাকতে হবে। তাঁদের প্রত্যেকের রুটিন চেক–আপ হবে। কারণ তাঁরা বাইরে থেকে এসেছেন। এখন ত্রিপুরায় কার্ফু জারি রয়েছে।
এই প্রতিনিধিদলকে আটক করতেই গর্জে উঠেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সোমবার টুইটে লেখেন, ‘ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের ঠিকঠাকভাবে পা রাখার আগেই, ভয় পাচ্ছে বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গে আমাদের জয়ে তাঁরা এতটাই ভীত যে, আইপ্যাকের ২৩ জন প্রতিনিধিকে গৃহবন্দি করে রেখেছে। বিজেপির অপশাসনে এই দেশে গণতন্ত্রের মৃত্যু হচ্ছে।’ ২০২৩ সালে এই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে মানুষের কাছ থেকে সমস্যার কথা শুনতে চান এই প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। তার আগেই এই আটক জোর চর্চার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রবিবার রাতে হোটেলে গিয়ে আইপ্যাকের সদস্যদের হোটেল–বন্দি করে পুলিশ। তাঁদের নথিপত্র খতিয়ে দেখা হয়। সোমবার সমীক্ষার কাজে বেরতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ। একুশে জুলাই পালন করতে গিয়েও বাধার মুখে পড়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার আইপ্যাক–এর প্রতিনিধিদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ করছেন তাঁরা। এই বিষয়ে বিজেপির সমালোচনা করেন ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি আশিসলাল সিং। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের উপর আঘাত হানা হয়েছে। সমীক্ষার কাজে তাঁরা এসেছিলেন। সেই সমীক্ষায় ভয় পেয়েই গৃহবন্দি করা হয়েছে।আতঙ্কে ভুগছে বিজেপি। এটা লজ্জার ব্যাপার। গণতন্ত্রকে হত্যা করছে বিজেপি। শেষের দিন শুরু হয়ে গিয়েছে।’