আজ, শুক্রবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই হাজির হওয়ার বিষয়টি তাঁর পূর্ব আশঙ্কা মিলে যাওয়া ঘটনা। তবে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল, তিনি যাবেন কিনা তা নিয়ে। যদিও সব গুঞ্জনে জল ঢেলে দিয়ে সময়ের আগেই পৌঁছলেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। তিনি আগে নয়াদিল্লি গিয়ে টানা ৯ ঘন্টা জেরার মুখোমুখি হয়েছিলেন। এমনকী তাঁর স্ত্রী রুজিরা কোলে সন্তান নিয়ে হাজিরা দিয়েছিলেন।
ঠিক কী জানা গিয়েছে? তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভা থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আশঙ্কা করেছিলেন, এই সভার পরই কেন্দ্রীয় এজেন্সি লাগিয়ে দেওয়া হতে পারে। ঠিক তারপরই তিনি ইডির নোটিশ পেয়েছেন। এই সভা থেকে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘অভিষেককে হয়তো আবার নোটিশ পাঠাবে ওরা।’ আর অভিষেক বলেছিলেন, ‘কিছু ঘটবে।’ তারপরই যা ঘটার ঘটে গেল। ইডির নোটিশ পাওয়ার পর আজ তাই হাজির হলেন অভিষেক।
অভিষেকের কী প্রতিক্রিয়া ছিল? ইডির নোটিশের পর ‘ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো’ (এনসিআরবি)–র একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে টুইটারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিশানা করেছিলেন অভিষেক। ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ লিখেছিলেন, ‘নয়াদিল্লিতে অপরাধের হার আমাদের সকলকে হতবাক করেছে। ইডির সঙ্গে পুতুল খেলার বদলে বাংলার শাসনব্যবস্থা থেকে ওঁর শিক্ষা নেওয়া উচিত।’ ইতিমধ্যেই ইডি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছে। অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছে সিবিআই। এই নিয়ে এখন চর্চা তুঙ্গে।
কেন অভিষেককে তলব করল ইডি? কয়লা পাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তাঁকে তলব করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই তদন্তে রাজ্যের সিআইডিও হাত লাগিয়েছে এবং কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। সিবিআই–ইডি দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা কয়লা পাচারের তদন্তে নেমেছে। আগে ইডি তলব নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করে অভিষেক বলেছিলেন, ‘ইডি–সিবিআইকে কাজে লাগিয়ে যাঁরা স্বার্থ চরিতার্থ করতে চান, তাঁদের বলতে চাই, আমি আমার অবস্থানে অনড় থাকব। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে ফাঁসির মঞ্চে মৃত্যুবরণ করব।’