অসত্য বলছেন অভিষেক, শাহজাহানের গ্রেফতারিতে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি হাইকোর্ট: বিকাশ

তিনি বলেন, ‘ওরা তো কত ছোটখাটো বিষয় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ছোটেন। শাহজাহানের গ্রেফতারিতে সত্যিই হাইকোর্ট কোনও স্থগিতাদেশ দিলে ওরা সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন না কেন? কারণ এরকম কোনও স্থগিতাদেশ নেই।

বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য

শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারিতে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি হাইকোর্ট। দলের আশ্রিত দুষ্কৃতীকে বাঁচাতে অসত্য কথা বলছে তৃণমূল। শাহজাহানকে আড়াল করার অভিযোগে বিচারব্যবস্থাকে কাঠগড়ায় তুলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যকে এই ভাষাতেই আক্রমণ করলেন রাজ্যসভায় বাম সাংসদ তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, আইন – শৃঙ্খলা রক্ষা করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ। কারণ তৃণমূল চায় রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হোক।

এদিন বিকাশবাবু বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনীতির DNA হচ্ছে অসত্য, তথ্যহীন কথা বলা ও গুন্ডামি করা। এই DNA নিয়ে যে দল তৈরি হয়েছে তার নেতা নেত্রীরা কখনওই সত্য কথা বলতে পারেন না। একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা যাবে না এমন কোনও নির্দেশ কোথাও দেয়নি আদালত। গোটা গ্রামের মহিলারা শাহজাহানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করছেন। এর সঙ্গে ইডির মামলার কোনও যোগাযোগ নেই। এটা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়। আইন – শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পুলিশ তার ভূমিকা পালন করতে পারছে না। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করছে না। আসলে ওরা এখন পালিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজছেন। ওরাও চাইছে ঘুরপতে রাষ্ট্রপতি শাসন হোক। তাহলে নির্বাচনে ওরা আবেগে সুড়সুড়ি দিতে পারবে’।

তিনি বলেন, ‘ওরা তো কত ছোটখাটো বিষয় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ছোটেন। শাহজাহানের গ্রেফতারিতে সত্যিই হাইকোর্ট কোনও স্থগিতাদেশ দিলে ওরা সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন না কেন? কারণ এরকম কোনও স্থগিতাদেশ নেই। যে কোনও ভাবে দলের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বাঁচাতে চায় তৃণমূল। এর আগেও একাধিকবার আমরা সেই নজির দেখেছি। এবার সন্দেশখালিতে তার নগ্ন রূপ দেখা গেল।’

তিনি আরও বলেন, পার্থ - জ্যোতিপ্রিয়র বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করে তৃণমূলের উপায় ছিল না। কারণ তদন্তে আদালতে সাব্যস্ত হয়ে গিয়েছে যে এরা কোনও না কোনও দোষ করেছেন। ফলে তৃণমূলকে পদক্ষেপ করতেই হত। সেজন্য কৃতিত্ব দাবি করতে পারে একমাত্র তৃণমূলের মতো দলই।