বাংলাদেশে গোরু পাচার চক্রের পান্ডাদের খুঁজে বার করতে পশ্চিমবঙ্গজুড়ে CBI-এর তল্লাশির মধ্যেই বিস্ফোরক অধীর চৌধুরী। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দাবি, গরু পাচারের টাকায় ভরেছে তৃণমূলের নির্বাচনী তহবিল।
বুধবার কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে গরু পাচার চক্রের পান্ডাদের খোঁজে তল্লাশি চালান সিবিআইএর গোয়েন্দারা। এর মধ্যে বিধাননগরে এক বিএসএফ কর্তার বাড়ি সিল করে দিয়েছে সিবিআই। উদ্ধার হয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি। তদন্তকারীদের অনুমান, বাংলাদেশে গরু পাচারের টাকার একটা বড় অংশ যায় জঙ্গিদের হাতে।
এই নিয়েই এর পর মুখ খোলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তাঁর প্রশ্ন, ‘সীমান্তে না হয় বিএসএফ টাকা লুঠ করেছে। কিন্তু পুলিশ ও শাসকদলের মদত ছাড়া গরু পাচার কী করে হতে পারে? গরু জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে গড়ি করে পাচার হয়েছে। মানিব্যাগে করে তো আর পাচার হয়নি?’ অধীরবাবুর দাবি, ‘গরুপাচারের টাকায় তৃণমূল নেতারা নির্বাচনী তহবিল গঠন করেছেন। এই টাকা গিয়েছে পুলিশের পকেটেও।’
এদিন সরাসরি তৃণমূলকে আক্রমণ করে অধীরবাবু বলেন, ‘গরু পাচারে তৃণমূল নেতাদের কত করে মাসোহারা দিতে হত তা পুলিশ তো জানেই সাধারণ মানুষও ভাল করে জানে। মুর্শিদাবাদে তো তা ওপেন টু অল। কলকাতা পুলিশের হেড কোয়ার্টার (লালবাজার) থেকে দিদির দলের জন্য টাকার পাহাড় তৈরি করতে গরু পাচারের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।’
বুধবার কলকাতা-সহ গোটা পশ্চিমবঙ্গে মোট ১৬টি জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। গোয়েন্দাদের দাবি, আটক হওয়া বড় গরুকে খাতায় কলমে ছোট আকারের দেখিয়ে রাতারাতি ফের নিলাম করে দেওয়া হত পাচারকারীদের কাছেই। এজন্য গরু পিছু ২,০০০ টাকা করে নিতেন বিএসএফ কম্যান্ডান্ট সতীশ কুমার। এছাড়া কাস্টমসকে দিতে হত ৫০০ টাকা।