অবশেষে সশরীরে ধরা দিলেন লালা। যার জন্য সিবিআই আধিকারিকদের দৌড়ে বেড়াতে হয়েছিল। মঙ্গলবার সিবিআই দফতরে ঠাণ্ডা মাথায় হাজিরা দিলেন কয়লাপাচার কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা। দেখে মনে হচ্ছিল, নিজের অফিসেই এসেছেন লালা। আর সিবিআই আধিকারিকরা যেন তাঁর কর্মচারী। এই মামলায় সিবিআই–এর তরফে তাঁকে চারবার নোটিশ দেওয়া হয়। যদিও সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ থাকায় আপাতত ৬ এপ্রিল পর্যন্ত লালাকে গ্রেফতার করতে পারবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা ৫০ নাগাদ নিজাম প্যালেসে এসে পৌঁছন তিনি। তাঁকে জেরার জন্য সব ব্যবস্থা করেও রেখেছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। গত ২৭ নভেম্বর কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তভার নেওয়ার পর থেকে চারবার লালাকে নোটিশ পাঠায় সিবিআই। কিন্তু সেই হাজিরা নিপুণভাবে এড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর তাঁকে নাগালে পেতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টেও যায় সিবিআই। জারি হয় লুকআউট নোটিসও। কিন্তু লালা নিজের মেজাজেই ছিলেন। তারই মধ্যে গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্ট সিবিআইকে জানায়, ৬ এপ্রিল পর্যন্ত লালাকে গ্রেফতার করা যাবে না। তবে লালাকেও তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে।
উল্লেখ্য, লালা–ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীকে ইতিমধ্যেই জেরা করেছে সিবিআই। তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা বিনয় মিশ্রকে ধরতে চলছে তল্লাশি। দিল্লি থেকে ইডি গ্রেফতার করেছে বিনয়ের ভাই বিকাশ মিশ্রকে। তাঁকে জেরা করেই ইডি জানতে পেরেছে, কয়লা–পাচারের মূলচক্রী অনুপ মাজি ওরফে লালার ব্যবসা ছিল প্রায় ১৩০০ কোটি টাকার। তার মধ্যে প্রভাবশালীদের পেছনেই ৭৩০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে।