এবার করোনাভাইরাস টিকা নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন বেলেঘাটা আইডির অধ্যক্ষা অনিমা হালদার। তাঁকে বেলেঘাটা আইডির সিসিইউতে ভরতি করা হয়েছে। আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত সোমবার কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর বাড়ি গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। বাড়িতেই বমি শুরু হয় তাঁর। আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে। দুটি ঘটনার মধ্যে কোনও যোগসূত্র আছে কিনা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে। তাঁকে আরও কয়েকদিন পর্যবেক্ষণ রাখা হবে। বিশেষজ্ঞদের দল বিস্তারিত আলোচনা করছে। খাদ্যে বিষক্রিয়া হয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কী কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তার খোঁজ নিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর।
উল্লেখ্য, দিল্লির এইমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া বলেন, ‘টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার স্বাস্থ্যকর্মী, প্রবীণদের অগ্রাধিকার দিয়েছে সরকার। তাঁদের টিকাকরণ শেষ হলেই খোলা বাজারে মিলতে পারে করোনার ভ্যাকসিন।’
এর আগে, কোভিশিল্ডের প্রস্তুতকারী সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার (এসআইআই) তরফে জানানো হয়েছিল, কোভিশিল্ডে যে যে উপকরণ আছে, সেগুলিতে যাঁদের অ্যালার্জি আছে, তাঁদের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রোজেনেকার তৈরি করোনা টিকা না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সেরাম। একইসঙ্গে প্রথম ডোজ নেওয়ার পর যে টিকাগ্রাহকদের গুরুতর অ্যালার্জি সংক্রান্ত প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে, তাঁদেরও কোভিশিল্ড নিতে বারণ করা হয়েছে। সেরামের তরফে জানানো হয়েছে, কোভিশিল্ডে এল-হিস্টিডিন, এল-হিস্টিডিন হাইড্রোক্লোরাইড মনোহাইড্রেট, ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড হেক্সাহাইড্রেট, পলিসরবেট ৮০, ইথানল, সুক্রোজ, সোডিয়াম, ক্লোরাইড, ডি-সোডিয়াম ইডিটেট ডিহাইড্রেট, ইনজেকশনের জন্য জল থাকে।
টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল, কোভিশিল্ড নেওয়ার আগে স্বাস্থ্যকর্মীদের জানাতে হবে যে কোনও ওষুধ, খাবার, কোনও টিকা বা কোভিশিল্ডের কোন উপকরণের ফলে অতীতে কোনও গুরুতর অ্যালার্জি সংক্রান্ত প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল কিনা। শারীরিক পরিস্থিতির বিষয়ে খুঁটিনাটি জানিয়ে দিতে বলা হয়েছে। টিকাগ্রাহক যদি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সাধারণের থেকে দুর্বল বা যাঁরা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর প্রভাব বিস্তারকারী ওষুধ খান এবং জ্বর থাকে বা রক্ত জমাট বাঁধার ধরনে সমস্যা হয় বা রক্ত কম ঘন হয়, তা টিকা নেওয়ার আগেই জানাতে বলেছিল সেরাম।