উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে বাঙালি যুবতীকে ছাদ থেকে ফেলে খুনের পর দেহ লোপাটের অভিযোগ প্রেমিকের বিরুদ্ধে। খুনের পর ২ মাস ধরে পরিবারকে নানা কথা বলে বিভ্রান্ত করে রেখেছিল সে। সম্প্রতি সন্দেহ হওয়ায় সপরিবারে দেরাদুন যান নিখোঁজ যুবতীর পরিবার। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় অঙ্কিত চোধরি নামে যুবককে। এর পর প্রকাশ্যে আসে গোটা রহস্য।
পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডালের বাসিন্দা নিহত নিবেদিতা মুখোপাধ্যায়ের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, গত ২৮ এপ্রিল শেষবার কথা হয় মেয়ের সঙ্গে। দেরাদুনে চাকরিরত ছিলেন তিনি। সেখানেই ইমারিত দ্রব্যের ব্যবসায়ী অঙ্কিতের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। গত দীপাবলিতে অঙ্কিতের বাড়িতেও গিয়েছিল সে। কিন্তু গত ২৮ এপ্রিল থেকে খোঁজ মিলছিল না নিবেদিতার। অঙ্কিতকে ফোন করলে সে জানায়, ঝগড়া করে তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন নিবেদিতা।
গত ১৫ জুন ছিল নিবেদিতার জন্মদিন। সেদিনই তাঁর পরিণতি নিয়ে সন্দেহ হতে থাকে পরিজনদের। ওই দিনই নিবেদিতাকে ফেসবুকে একটি মেসেজ করেন তাঁর এক আত্মীয়। পালটা সেই আত্মীয়কে ফোন করেন অঙ্কিত। তখনই প্রশ্ন জাগে, নিবেদিতার সঙ্গে না থাকলে তাঁকে মেসেজ করা হয়েছে একথা সে জানল কী করে?
এর পরই দেরাদুনে যায় পরিবার। গোটা ঘটনা উত্তরাখণ্ড পুলিশের আধিকারিকদের খুলে বলেন তাঁরা। অভিযোগ পেয়ে অঙ্কিতকে আটক করে পুলিশ। জেরায় সে জানায়, ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে নিবেদিতাকে খুন করেছে সে। তার পর দেহ পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে মুসৌরির কাছে ফেলে দিয়েছে খাদে। অঙ্কিতের দেখানো জায়গা থেকে নিবেদিতার দেহাবশেষ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের পর তা তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে।
উত্তরাখণ্ড পুলিশের তৎপরতায় খুশি মুখোপাধ্যায় পরিবার। তাঁদের দাবি, শাস্তি পাক নিবেদিতার খুনি।