গোটা দেশে একশো কোটি মানুষ টিকা পেয়ে গিয়েছেন। করোনাভাইরাসও এখন নিয়ন্ত্রণে। তাহলে এবার স্কুল স্বাভাবিক ছন্দে খোলা উচিত। অভিভাবকদের প্রশ্ন, তাহলে স্কুল কবে খুলবে? সরাসরি উত্তর সেভাবে না মিললেও এবার পদক্ষেপ করেছে বিকাশ ভবন। সূত্রের খবর, দুর্গাপুজো মিটতেই স্কুলবাড়ি মেরামতির জন্য টাকা বরাদ্দ করেছে বিকাশ ভবন। প্রতিটি স্কুলকেই সেই টাকা দেওয়া হচ্ছে। মোট ৬৪৬৮টি স্কুল টাকা পাচ্ছে।
দুর্গাপুজোর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, সব ঠিক থাকলে নভেম্বর মাসে স্কুল খোলা যেতে পারে। সেদিক থেকে দেখতে গেলে এখন পরিস্থিতি অনেকটাই ভাল। তাই উদ্যোগ নিতে দেখা গেল বিকাশ ভবনকে। লকডাউনের জেরে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ রয়েছে। আবার আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বহু স্কুল। তাই স্কুল খুলতে গেলে পরিবেশ তৈরি করতে হবে। যাতে ছাত্র–ছাত্রীরা এসে পঠনপাঠন করতে পারে। তাই স্কুল মেরামত করতে কত টাকা লাগতে পারে সে বিষয়ে জেলাশাসকদের খরচের তালিকা পাঠাতে বলল বিকাশ ভবন। ১৫ সেপ্টেম্বর ছিল তালিকা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। সুতরাং তালিকা হাতে পেয়ে গিয়েছে বিকাশ ভবন। তারপরই এই পদক্ষেপ।
জানা গিয়েছে, এই তথ্য জানাতে বিকাশ ভবন আগেই গুগল ফর্মের মাধ্যমে একটা আপডেট দিয়ে রেখেছিল। স্কুল খোলার সম্ভাবনা তাতেই জোরাল হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। অনেক শিক্ষক–শিক্ষিকারা বলছেন, এখন ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাচ্ছেন মা–বাবার সঙ্গে। তাহলে স্কুলে আসতে অসুবিধাটা কোথায়? বরং বিধি মেনে স্কুল খোলা যেতেই পারে। তাতে অন্তত পঠনপাঠন স্বাভাবিক করা যাবে।
অভিভাবকদের একাংশ চাইছে স্কুল খুলুক। আবার একটা অংশ চাইছে এই বছরটা বন্ধই থাকুক। নতুন বছর থেকে স্কুল খোলা হোক। তাঁদের যুক্তি দুর্গাপুজোর পর করোনাভাইরাস বেড়ে গিয়েছে। তাই আর কিছুদিন সাবধানতা নেওয়া যাক। সেক্ষেত্রে দুর্গাপুজো শেষ হলেই আদৌ স্কুল খুলবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এই বিষয়ে আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘দুর্গাপুজোর পরই স্কুল খুলবে রাজ্যে। আগেই ঘোষণা করা হয়েছে। পুরো স্কুল স্যানিটাইজ করে তারপর তা খোলা হবে। তবে সেটা হবে যদি তৃতীয় ঢেউ না আসে।’ এখন দেখার স্কুল খোলে কিনা।