জামিন পেলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। সোমবার নগর দায়েরা আদালতের বিচারক সংগীতা চট্টোপাধ্যায় ২০,০০০ টাকা ব্যক্তিগত বন্ডে শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করে।
গত শুক্রবার মুচিপাড়া থানার পুলিশ ফিল্মি কায়দায় লাথি মেরে দরজা ভেঙে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। সজলের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনেও মামলা দায়ের করা হয়। এদিন অভিযুক্ত সজলকে নগর দায়েরা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক সরকার পক্ষ ও অভিযুক্তের আইনজীবী দুই পক্ষের বক্তব্য শোনেন। এরপরই বিচারক বিজেপি নেতা সজল ঘোষের জামিন মঞ্জুর করে। এর আগে গত শনিবার সজলকে আদালতে তোলা হলে দু'দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। সোমবার তাঁকে ফের আদালতে তোলা হলে তাঁকে ২৫ অগস্ট পর্যন্ত হেফাজতে রাখার আবেদন জানানো হয়। কিন্তু বিচারক তা খারিজ করে দেন।
সজলের আইনজীবী জানান, ‘অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করলেও কোনও বেআইনি অস্ত্র পায়নি পুলিশ। উপযুক্ত প্রমাণ না থাকায় সজলকে ২০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়া হয়।’ গত শুক্রবার সজল ঘোষের বাড়িতে দরজা ভেঙে গ্রেফতারির ঘটনা প্রসঙ্গে নিন্দায় সরব হন একাধিক রাজনৈতিক দল। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনা ভাইরালও হয়ে যায়। তৃণমূলের তরফেও দরজা ভাঙার ঘটনাকে অবাঞ্চিত বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছিল।
যদিও সজলের পাশে দাঁড়িয়েছেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তিনি জানান, 'সিসিটিভি ফুটেজে কোথাও অস্ত্র দেখা যাচ্ছে না। অস্ত্র আইনে মামলা, চুরির মামলা - সরকার বাহাদুরকে খুশি করার জন্য পুলিশ আধিকারিকরা এসব করে বেড়াচ্ছেন। এরা জানে না সংবিধান কাউকে ছেড়ে কথা বলে না। আজ আপনারা করছেন, কাল আপনাদের কী হবে, তা কেউ ভাবেন না। সরকারকে খুশি করার জন্য একজন রাজনৈতিক নেতাকে হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে।'