রাজ্যে প্রতিহিংসার শিকার বিজেপি কর্মীরা। তৃণমূলকে তোপ দেগে এমনই দাবি করলেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। উল্লেখ্য, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে বিজেপিকে তোপ দেগেছিলেন। তারই পালটা আক্রমণ শানাতে রাজ্যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ইস্যুতে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাল বিজেপি।
শনিবার মমতা-অভিষেকের জোড়া আক্রমণের জবাবে বিজেপির তরফে শমীক ভট্টাচার্য দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী বা তাঁর পরিবারকে নিয়ে কুত্সা করা বিজেপির সংস্কৃতি নয়। তবে বিজেপি কর্মী এবং তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানো নেতাদের উপর প্রতিহিংসা পরায়ণ রাজ্যের শাসক দল। পাশাপাশি বিজেপি মখপাত্র দাবি করেন, 'ইডি-সিবিআই তদন্ত করলেই তৃণমূল বলে প্রতিহিংসার রাজনীতি। যদি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সম্পর্কে কোনও অভিযোগ থাকে, তাহলে আদালতকে সেটা জানাক তৃণমূল।'
পাশাপাশি তৃণমূলের বিরুদ্ধে শমীকবাবুর আরও অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে ভাষা সন্ত্রাসের আমদানি করেছে তৃণমূল। ত্রিপুরা নিয়ে অভিষেকের মন্তব্যের পালটা জবাবও দেন শমীকবাবু। বলেন, 'তৃণমূল ত্রিপুরায় সরকার গড়ার স্বপ্ন দেখছে। জয়ের স্বপ্ন দেখা ভালো। তবে ত্রিপুরায় আগে খাতা খুলে দেখাক তৃণমূল।' ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্ত প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র বলেন, 'আদালতের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্ত হচ্ছে। তদন্তের বিষয়ে কোনও সহযোগিতা প্রয়োজন হলে সিবিআইকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবে বিজেপি।'
পাশাপাশি রাজ্যে করোনা টিকাকরণ নিয়ে বিজেপির নিশানায় ছিল তৃণমূল। বিজেপির দাবি, টিকাকরণের নিরিখে দেশের অন্যান্য রাজ্য থেকে অনেকটা পিছিয়ে পশ্চিমবঙ্গ। এদিকে এদিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন গেরুয়া শিবিরের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা দিবস উপলক্ষে দলীয় জমায়েতকে কটাক্ষ করে তাঁর বক্তব্য, জমায়েত করে কোভিডবিধি ভাঙছে তৃণমূল। রাজ্যে বিজেপি ও তৃণমূলের ক্ষেত্রে পৃথক আইন প্রযোজ্য হয়।
এদিকে অ-বিজেপি দল শাসিত রাজ্যগুলি কেন্দ্রের বঞ্চনার শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ করে মমতা তাদের একজোট করার ডাক দিয়েছেন। অ-বিজেপি রাজ্যগুলিকে নিয়ে বৈঠক করবেন বলেও জানিয়েছেন। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও এটা কতটা বাস্তবসম্মত, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করতে দেখা গেল সিমিএম নেতা সুজ চক্রবর্তীকে।