দেশে রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে ওমিক্রন। আর বাংলায় বেড়েছে করোনাভাইরাস। এই সাঁড়াশি চাপে অনিশ্চিত হয়ে পড়ল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বঙ্গ সফর। তবে ৯ ও ১০ জানুয়ারি বিধি মেনে ঘরোয়া কর্মসূচিতে করতে কলকাতায় আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। তবে এই সফরে তাঁর নদীয়ায় যে প্রকাশ্য কর্মসূচি ছিল তা বাতিল হয়েছে।
বাংলায় গত এপ্রিল মাসে একুশের নির্বাচনী প্রচারে শেষবার পা রেখেছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তারপর ২০০ সাফল্য আসেনি তাঁদের। এবার দীর্ঘ আট মাস পর শাহ–নড্ডার রাজ্যে আসার কথা ছিল। সেখানে নড্ডা ৯ ও ১০ জানুয়ারি কলকাতায় আসলেও সংক্রমণের জেরে ঘরোয়া বৈঠকে আটকে থাকবেন। কিন্তু অমিত শাহের প্রস্তাবিত সফর বাতিল হওয়ায় চারটি পুরসভা নির্বাচনের মুখে ফের সমর্থকদের হতোদ্যম হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
অন্যদিকে, করোনাভাইরাসের বাড়বাড়ন্তে বিজেপির নবান্ন অভিযান আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। কৃষি আইন প্রত্যাহারের পর এই রাজ্যে কৃষকদের নিয়ে তেড়েফুঁড়ে নেমেছিল বিজেপি। সিঙ্গুরে গিয়ে ধর্ণা–সমাবেশ করা হয়েছিল। সুকান্ত–শুভেন্দুরা সেখানে গরমাগরম বক্তব্য রেখেছিলেন। ডাক দিয়েছিলেন নবান্ন অভিযানের। ব্লকে ব্লকে আন্দোলন চরমে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।
কিন্তু পরিস্থিতি এখন প্রতিকূল। তাই এই বিষয়ে বিজেপির কিষান মোর্চা সভাপতি মহাদেব সরকার বলেন, ‘করোনাভাইরাসের জন্য এই কর্মসূচি আপাতত বন্ধ থাকছে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে বাংলার কৃষকদের জন্য সাত দফা দাবি পূরণে আমরা নবান্ন অভিযান করব।’ এখন রাজ্যে বিধিনিষেধ ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকছে। ফলে সেই বিধিনিষেধ ফের বাড়বে না উঠে যাবে, তার উপর নির্ভর করছে সবকিছু।