বিধানসভা ভোটের পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গে আর দেখা মেলেনি জেপি নড্ডা, অমিত শাহদের মতো বিজেপি হেভিওয়েটদের। এর মাঝে উপনির্বাচন ও কলকাতা পুরনিগম ভোটে ধরাসায়ী হয়েছে বিজেপি। ‘বিদ্রোহ’, ’ভাঙনে’ জর্জরিত দল। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের বাকি পুরভোটের প্রচারে দলীয় নেতা কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতে রাজ্যে আসতে চলেছেন জেপি নড্ডা, অমিত শাহরা। আর তার আগেই বিজেপি নব নিযুক্ত কমিটি সদস্যদের লক্ষ্য স্থির করে দিয়ে গেলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষ। সোমবার নতুন রাজ্য কমিটি ও জেলা সভাপতিদের নিয়ে কলকাতায় জাতীয় গ্রন্থাগারের ভাষা ভবনে বৈঠক করেন সন্তোষ। সেখানেই কমিটিগুলি দ্রুত গঠনের নির্দেশ দেন তিনি।
আগামী ৯ জানুয়ারি কলকাতায় আসবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। এর আগে রাজ্যের সব জেলা কমিটি গঠন করে ফেলতে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন বিএল সন্তোষ। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই বিজেপি ৪২ জন জেলা সভাপতির নাম ঘোষণা করেছে রাজ্যে। এদিকে জানুয়ারি মাসের চতুর্থ সপ্তাহে উত্তরবঙ্গে আসতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার আগে মণ্ডল স্তরের সব কমিটি তৈরি করতে বলেছেন বিএল সন্তোষ। যদিও এই সব কমিটি হবে ‘ক্ষণস্থায়ী’। কারণে, বিজেপির দলীয় সংবিধান অনুযায়ী, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরেই বিজেপি-র সাংগঠনিক নির্বাচন শুরু হওয়ার কথা। সেই সময়ে শুরু হয়ে কয়েক মাসের মধ্যে বুথ, মণ্ডল এবং জেলা সভাপতি নির্বাচন হবে। সেই সময় সুকান্ত মজুমদারকেও নির্বাচনে জিতে আসতে হবে রাজ্য সভাপতির পদে বহাল থাকতে হলে।
এদিকে বিজেপি বাংলায় তাদের প্রসার ঘটাতে তারুণ্যের উপরই বাজি ধরছে। বিধানসভা নির্বানে শোচনীয় ফলের পর তাই সংগঠন ঢেলে সাজাতে উঠে পড়ে লেগেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। মূলত রাস্তায় নেমে আন্দোলনের ক্ষেত্রে তরুণদের প্রাধান্য দিতেই কমিটিগুলির গড় বয়স কম করতে চায় বিজেপি। পাশাপাশি বিভিন্ন স্তরের সভাপতিদেরও বয়সসীমা বেঁধএ দিয়েছে দল। যদিও প্রবীণদের ব্রাত্য করার কথা কৌশলে এড়িয়ে গিয়ে সন্তোষের বক্তব্য, কমিটির সদস্য হতে কোনও বয়সসীমা নেই। তবে রাজ্য স্তর থেকে আন্দোলনকে জেলা, মণ্ডল, বুথ স্তরে নিয়ে যেতে নতুন রক্ত আমদানি করতে চাইছে গেরুয়া শিবির।