রাজ্যে নারী নির্যাতন হচ্ছে, অথচ তা নিয়ে বিধানসভায় বলতে দেওয়া হচ্ছে না। মহিলা হয়েও মু্খ্যমন্ত্রী রাজ্যের মহিলাদের নিরপত্তা দিতে পারছেন না। বুধবার এই অভিযোগ তুলে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করল বিজেপি। এ দিন বিধানসভা বাইরে বেরিয়ে বিজেপির বিধায়করা বিক্ষোভ দেখান।
বুধবার বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনেন বিজেপির বিধায়করা। কিন্তু স্পিকার শেষ প্রস্তাব পড়তে দেননি। এরপর বাইরে বেরিয়ে আসেন গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। রাজ্যের নারী নির্যাতন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন।
(পড়তে পারেন। কী করে ঠান্ডা করতে হয় জানি! পাঁচলার নির্যাতিতাকে বাড়িতে পৌঁছে বললেন BJP নেত্রী)
অগ্নিমিত্রা বলেন, 'সাতগাছিয়া থেকে পাঁচলা বাংলায় জেলায় জেলায় আক্রান্ত মহিলারা। কোথাও ধর্ষণ হচ্ছে, মহিলাদের নগ্ন করে ঘোরানো হচ্ছে। সেদিকে ওনার নজর নেই। আমাদের বিধানসভায় বলতে দেওয়া হল না। আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে ধিক্কার জানাই যিনি একজন মহিলা হয়ে রাজ্যের মহিলাদের সুরক্ষা দিতে পারছেন না। '
সোমবার বিধানসভায় মণিপুর নিয়ে নিন্দা প্রস্তাব আনছে তৃণমূল। সেই প্রসঙ্গে বলেন, 'মণিপুর নিয়ে প্রস্তাব আনা হলে স্বাগত। সেখানে যা হয়েছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। কিন্তু রাজ্য বিভিন্ন জেলায় যে নারী নির্যাতনের ঘটনা হচ্ছে সেগুলো নিয়েও বলেতে দেওয়া উচিত।'
তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিশ আলি গেরুয়া শিবিরের এই ওয়াকআউট প্রসঙ্গে বলেন,'বিজেপি মণিপুর নিয়ে জবাব দিতে পারছে না বলে এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে। লোকসভা হার নিশ্চিত জেনে ওরা এই অভিযোগ সাজিয়ে মুখ বাঁচাচ্ছে।'
ভোট হিংসায় আক্রান্ত মহিলাদের নিরাপদ আশ্রয়ে
বুধবার বিধানসভায় বিজেপির পরিষদীয় দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন গেরুয়া শিবিরের পাঁচজন ঘরছাড়া মহিলা প্রার্থী। এদিন তাঁদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যায় পরিষদীয় দল। আক্রান্ত তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা জানান। আমতা-২ ব্লকে ২ বিজেপি প্রার্থী জানান, তাঁদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। ওই ঘরছাড়া মধ্যে পাঁচলায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মীয় ছিলেন। তিনিও তাঁর অভিজ্ঞতার কথা পরিষদীয় দলকে বলেন।
ওই পাঁচ কর্মীকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের আইনি সাহায্যে দিয়ে ঘরে ফেরার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান এক বিজেপি বিধায়ক।
মঙ্গলবার হাওড়ার পাঁচলায় রাজ্য বিজেপি নেত্রী তথা আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল এক ঘরছাড়া মহিলা বিজপি প্রার্থীকে ঘরে ফেরান। তিনি নির্যাতিতা বিজেপি প্রার্থীকে ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে থানায় আসেন। পুলিশের সঙ্গে কথা বলে প্রার্থী ও তাঁর পরিবারকে বাড়িতে পৌঁছে দেন বিজেপি নেত্রী।