বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধি নিয়ে এবার নরেন্দ্র মোদীর কাছে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার দিল্লি উড়ে যাওয়ার আগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিজেপি মনে করছে যে বিএসএফ মানে বিজেপি সেফ নয়। সেটা তো ঠিক নয়।
মমতা বলেন, 'আমি আজ দিল্লি যাচ্ছি। এই যাওয়ার বিষয়টি আগে থেকেই ঠিক ছিল। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বুধবার দেখা করার কথা আছে। আমার রাজ্যের কতগুলি বিষয় আছে। বিশেষত বিএসএফের ইস্যুটা নিয়ে আমি কথা বলতে যাচ্ছি। গায়ের জোরে এলাকা দখল করতে দেব না। বিএসএফ তো আর আমার শত্রু নয়। ওরাও আমার বন্ধু। কিন্তু সেটা নয়। বিজেপি যেভাবে মনে করছে, বিএসএফ মানে বিজেপি সেফ - সেটা তো ঠিক নয়। প্রতিটি সংগঠনের একটি নিজস্বতা আছে। এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব রাজ্য পুলিশের। তারাও একটি ক্যাডার। আবার অন্যান্য এজেন্সি - সিআইএসএফ, সিআরপিএফ, বিএসএফ তারাও ক্যাডার। প্রত্যেকের নিজস্ব ক্ষেত্র আছে। কিন্তু তা না করে এরা গায়ের জোরে এজেন্সিগুলিকে নিজের পার্টির কাজে লাগাচ্ছে।'
ইতিমধ্যে গত মঙ্গলবার বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ হয়ে গিয়েছে। বিজেপির তরফে দাবি করা হয়, দেশের সুরক্ষার জন্য বিএসএফের ক্ষমতা বাড়ানো উচিত। সেজন্য আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিএসএফের কাজের পরিধি বাড়িয়েছে কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তো দাবি করেন, ৫০ কিলোমিটারের পরিবর্তে বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়িয়ে ৮০ কিলোমিটার করা উচিত।
মমতা জানান, মোদীর কাছে রাজ্যের উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। সেইসঙ্গে ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের উপর হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন মমতা। তিনি অভিযোগ করেন, ত্রিপুরায় শুধুমাত্র তৃণমূল নয়, কোনও মিডিয়াকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। শুধু ত্রিপুরা নয়, উত্তরপ্রদেশ, অসম-সহ একাধিক রাজ্যে এই পরিস্থিতি বলে দাবি করেন মমতা।