সন্দেশখালির মামলায় যুক্ত হতে চেয়ে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবী দিয়ে আবেদন জানান শেখ শাহজাহান। তারপরই বিচারপতি তৃণমূল কংগ্রেস নেতার আইনজীবীকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আত্মসমর্পণ করছেন না কেন?’ আর আজ, মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে তাঁর আইনজীবী জানালেন, এখনই এই মামলায় যুক্ত হতে চান না শেখ শাহজাহান। একদিন আগেই ‘নিখোঁজ’ তৃণমূল কংগ্রেস নেতার পক্ষ থেকে মামলায় যুক্ত হওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। পরদিন তা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। সুতরাং এই ভোলবদল নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তবে কেন এমন করলেন? সেটা জানানো হয়নি।
এদিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই বিষয়ে নিজের অবস্থান বদলে ফেললেন শেখ শাহজাহান। আজ কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে শাহজাহানের আইনজীবী বলেন, ‘আমার মক্কেল এখনই মামলায় যুক্ত হতে চাইছেন না। তাই আগের আবেদন ফিরিয়ে নিতে চাই।’ গত ৫ জানুয়ারি শুক্রবার সন্দেশখালিতে ইডি অফিসাররা গেলে তাঁদের মারধর করা হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর হামলা করা হয়। এই কাজে শেখ শাহজাহান উস্কানি দিয়েছে বলে অভিযোগ করে ইডি। তারপর সোমবার সন্দেশখালির ঘটনার প্রায় ১০ দিন পর সেই শাহজাহানের সাড়া মেলে কলকাতা হাইকোর্টে। সেদিন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। তবে সশরীরে নয়। আইনজীবীর মাধ্যমে বক্তব্য পেশ করেন শাহজাহান।
অন্যদিকে তখন শাহজাহানের অনেক কিছু বলার আছে বলে দাবি করা হয়। তাই যুক্ত হতে চেয়েছিলেন মামলায়। এখন ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে বলছেন যুক্ত হতে চান না। তাহলে কি ভয় পাচ্ছেন শাহজাহান? উঠছে প্রশ্ন। সন্দেশখালির ঘটনার পর ১১ দিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও অধরা শেখ শাহজাহান। কেন তাঁকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না? পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। পরদিনই ভোরে সন্দেশখালিতে হামলার ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইডির আইনজীবী এসভি রাজু ও ধীরাজ ত্রিবেদী সন্দেশখালির ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। সোমবার সেই মামলায় বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শাহজাহানের আইনজীবী। আর জানান, এই মামলায় তাঁর মক্কেল যুক্ত হতে চান।
আরও পড়ুন: এক্স হ্যান্ডেলের কভার পিকচার বদলে ফেলল তৃণমূল, মমতা–অভিষেক রসায়ন অব্যাহত
এছাড়া বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের নির্দেশে, তদন্তের জন্য একটি ‘সুপারভিশন টিম’ গঠন করা হয়েছে। ওই দলে রয়েছেন এসডিপিও, ডিএসপি এবং সার্কুলার ইন্সপেক্টর। ইডি অফিসারদের উপর হামলার পরেই রাজ্য পুলিশ কেন শাহজাহানের বাড়ি ঢোকার চেষ্টা করেনি, প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি। সরকারি আইনজীবীর কাছে বিচারপতি জানতে চান, ‘১১ দিন কেটে গেল। মূল অভিযুক্ত এখন গ্রেফতার হয়নি। পুলিশ কী করছে?’