মানহানির মামলায় স্বস্তি পেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মামলায় শুভেন্দুকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল আলিপুর আদালত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানান বিরোধী দলনেতা। সেই সংক্রান্ত মামলায় নিম্ন আদালতের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। অর্থাৎ আপাতত শুভেন্দু অধিকারীকে আলিপুর আদালতে হাজিরা দিতে হবে না। এর ফলে স্বাভাবিকভাবে স্বস্তি পেলেন বিরোধী দলনেতা।
শুভেন্দু অধিকারী নাম না করে অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছিলেন বলে অভিযোগ। অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, গত ২০ জুন একটি জনসভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ‘দুর্নীতি করে হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।’ যদিও এ প্রসঙ্গে কারও নাম করেননি শুভেন্দু অধিকারী। তবে অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, শুভেন্দু তাঁকে আক্রমণ করেছিলেন। একজন ভালো নাগরিক হিসেবে তাঁর সুনাম রয়েছে। কিন্তু, শুভেন্দু অধিকারী এই মন্তব্য করায় তাঁর সুনাম নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ অমিতের। প্রথমে আইনি নোটিশ পাঠিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে নিঃস্বার্থ ক্ষমা চাইতে বলেছিলেন অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, নন্দীগ্রামের বিধায়ক ক্ষমা না চাওয়ায় আলিপুর আদালতে মানহানি মামলা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা। সেই সংক্রান্ত মামলায় আগামী ১৬ মে শুভেন্দুকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল আলিপুর আদালত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী আলিপুর আদালতের সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।
অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে দেওয়া রক্ষাকবচকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের মামলা কলকাতা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। গত ডিসেম্বরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে একাধিক এফআইআর দায়ের করেছিল রাজ্য। বিচারপতি রাজশেখর মান্থা তাতে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন। সেইসঙ্গে কোনও মামলা দায়ের করতে গেলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে বলে জানিয়েছিলেন। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। সেই মামলায় ধাক্কা খেল রাজ্য।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup