মাধ্যমিক চলাকালীন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। ইন্টারনেট বন্ধ রাখার পিছনে রাজ্যের ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য না হওয়াতেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
গত সোমবার থেকে শুরু হয়েছে ২০২২ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা। ২ বছর পর ফের পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছেন ছাত্রছাত্রীরা। মাধ্যমিকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সম্ভাবনা রুখতে সাতটি জেলায় পরীক্ষা চলাকালীন ইন্টারনেট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় প্রশাসন। বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত ইন্টারনেট বন্ধ ছিল রাজ্যের ৭টি জেলায়। রাজ্য প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা।
আবেদনকারীর অভিযোগ ছিল, ইন্টারনেট এখন একটি জরুরি পরিষেবা। ট্যাক্সি বুক করা থেকে টাকা লেনদেন করতে ইন্টারনেট আবশ্যিক। এই পরিস্থিতিতে কোনও বিজ্ঞপ্তি ছাড়া কী ভাবে একের পর এক জেলায় ইন্টারনেট বন্ধ রাখতে পারে রাজ্য সরকার? মাধ্যমিক পরীক্ষায় হচ্ছে খাতায় কলমে। পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরে মোবাইল ফোন নিয়ে ঢোকার কথা নয় পরীক্ষার্থীদের। তাহলে ইন্টারনেট বন্ধ কেন? আবেদনকারীদের সওয়াল শুনে রাজ্যকে ইন্টারনেট বন্ধের কারণ জানিয়ে হলফনামা জমা দিতে বলেছিল আদালত।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের সওয়াল শুনে খুশি হয়নি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এর পরই রাজ্যের ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। চার সপ্তাহ পর মামলাটির ফের শুনানি হবে।