বাংলাদেশে গরুপাচারের অভিযোগে বিএসএফ আধিকারিক সতীশ কুমারকে গ্রেফতার করল সিবিআই। মঙ্গলবার কলকাতার নিজাম প্যালেসে দফায় দফায় জেরার পর বিকেলে তাঁকে গ্রেফতার করেন আধিকারিকরা। সিবিআই সূত্রের খবর, তদন্তে অসহযোগিতা করায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।
সিবিআইয়ের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এর আগে ৩ বার সমন পাঠানো হয়েছে বিএসএফ কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমারকে। কিন্তু তিনি আসেননি। মঙ্গলবার এলেও অধিকাংশ প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন না ওই আধিকারিক। জবাব জানা নেই বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। বেলা ১১টা থেকে তিন দফা জেরার পর তাঁকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হন সিবিআই আধিকারিকরা। বুধবার তাঁকে আদালতে পেশ করে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে সিবিআই।
সিবিআই সূত্রের খবর, গরুপাচারের জাল যে বহুদূর বিস্তৃত তা জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। এতে বিএসএফের একাধিক আধিকারিক ছাড়াও জড়িত রয়েছেন পুলিশ আধিকারিক ও রাজনৈতিক নেতারা। এদের প্রত্যেকের কাছে পৌঁছত গরুপাচারের টাকা। কাদের কাছে টাকা পৌঁছত তা জানতে সতীশ কুমারকে জেরা করবেন তাঁরা।
এছাড়া সতীশ কুমারের বিপুল বেনামি সম্পত্তিরও হদিশ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। কলকাতা ছাড়াও ঝাড়খণ্ড ও দিল্লিতে বেনামে ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর। আরও কোথায় কোথায় তাঁর সম্পত্তি রয়েছে তা জানতে তদন্তের জাল আরও ছড়াতে চান গোয়েন্দারা।
জানা গিয়েছে, বর্তমানে ছত্তিসগড়ের রায়পুরে কর্মরত সতীশ কুমার। ২০১৭ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মুর্শিদাবাদে বিএসএফ-এর কমান্ড্যান্ট ছিলেন তিনি। অভিযোগ, তাঁর ছত্রছায়ায় সীমান্তে বাজেয়াপ্ত হওয়া গরুকে বাছুর বলে দেখিয়ে কম দামে তুলে দেওয়া হত এনামুল হক নামে এক ব্যবসায়ীর হাতে। তার পর সেই গরু ফের পাচার হয়ে যেত বাংলাদেশে। এজন্য বিপুল পরিমান কাটমানি আদায় করতেন সতীশ কুমার। বাদ ছিলেন না শুক্ল দফতরের আধিকারিকরাও।