তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলে–কে গ্রেফতার করা নিয়ে এবার গর্জে উঠলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, মঙ্গলবার সকালে প্রথমে টুইট করে বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধনা করেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। কিন্তু সেখানেই থেমে থাকছে না বিষয়টি। কারণ নয়াদিল্লি থেকে আজ, মঙ্গলবার আজমেঢ় শরিফ ও পুষ্কর যাওয়ার আগে এই ঘটনাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে সুর চড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর কড়া টুইট করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? এদিন আজমেঢ় শরিফ যাওয়ার আগে সাকেত গোখলের গ্রেফতার নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়। তখন তিনি সাংবাদিকদের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সুর সপ্তমে চড়িয়ে বলেন, ‘এটা অত্যন্ত খারাপ এবং দুঃখজনক ঘটনা। সাকেত গোখলে একজন উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব। তাঁর সোশ্যাল নেটওয়ার্কও অত্যন্ত শক্তিশালী। উনি কোনও ভুল করেননি। সাকেত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিল। অনেক কষ্ট করে চলতে হয় জীবনে। তাঁকে রাত ২টোর সময় আহমেদাবাদে গুজরাট পুলিশ গ্রেফতার করেছে। কারণ উনি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে টুইট করেছিলেন। আমার বিরুদ্ধেও তো কত টুইট হয়। সাইবার ক্রাইম হচ্ছে কিনা সেটা দেখা জরুরি। মৌরবি সেতু ভেঙে পড়াটা অনেক বড় ইস্যু। এটা নিয়ে একটা খবর পোস্ট করেছিলেন সাকেত। এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখের। এমন রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মেনে নেওয়া যায় না।’
ঠিক কী টুইট করেছেন অভিষেক? এই ঘটনা নিয়ে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি টুইট করে লেখেন, ‘যারা মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে, যারা মানুষর জীবন নিয়ে ব্যবসা করছে, তাঁদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। বিজেপি ভয় পেয়ে আমাদের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার করল গুজরাট পুলিশ। বিজেপি যদি মনে করে এসবে ভয় পেয়ে আমরা মাথা নত করব তাহলে এটা তাদের মূর্খামি।’
কেন গ্রেফতার সাকেত গোখলে? অক্টোবর মাসের শেষে গুজরাটের মৌরবি সেতু ভেঙে ১৪১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তখন সেতু নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ–সহ নানা গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল মোদী রাজ্যের এই দুর্ঘটনাকে ঘিরে। এমনকী এটাই গুজরাট নির্বাচনের আগে বড় ইস্যু ছিল। আর এটা নিয়েই তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলে টুইট করেন। তা নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। এবার গুজরাটে ভোট মিটতেই সেই মামলায় সাকেত গোখলেকে গ্রেফতার করে সেখানকার পুলিশ।