যিনি বহু বছর ধরে আইনকে রক্ষা করার কাজ করে এসেছেন তিনিই আইন ভেঙে চূড়ান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। এহেন দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্য দায়ী করে প্রাক্তন পুলিশকর্মীর জামিন খারিজ করলেন বিচারক। গত মাসে এক প্রাক্তন পুলিশ কর্মীর গাড়ির মৃত্যু হয়েছিল এক বিজ্ঞানির। সেই পুলিশ কর্মী ছাড়া পেলেন না।
গত ডিসেম্বরে গাড়ি চালানো শিখতে গিয়ে পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত এএসআই মনোরঞ্জন ঘোষের গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছিলেন এক বিজ্ঞানী। এরপরে জামিনের আবেদন জানিয়ে আলিপুর আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মী। সেই মামলায় মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট জামিনের আবেদন খারিজ করে জানিয়ে দেন, 'যে ব্যক্তি দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছেন তাকে ছেড়ে দিলে ভবিষ্যতে যে তিনি এ রকম কাজ করবেন না তার কোনও নিশ্চয়তা নেই।'
মৃত বিজ্ঞানী সুনীল গড়াইয়ের পরিবারের আইনজীবীর দাবি, ওই পুলিশকর্মী আইন ভেঙেছেন। ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তির যে কোনওভাবে লাইসেন্স পাওয়া সম্ভব নয় তা জানার পরও তিনি গাড়ি চালানো শিখছিলেন। সুনীল গড়াই ছিলেন তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। কিন্তু আচমকাই তার মৃত্যু হাওয়ায় পরিবারের সদস্যদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। এই যুক্তি দিয়ে তিনি অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারের জামিন খারিজ করার আবেদন জানান। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে জামিন খারিজ করে তার জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেইসঙ্গে, তার বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুন সহ আরও বেশ কিছু ধারা যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গাড়ি চালানো শিখতে গিয়ে অবসরপ্রাপ্ত ওই পুলিশ কর্মীর গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল অ্যাটোমিক মিনারেলস ডিরেক্টোরেট ফর এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড রিসার্চের ওই বিজ্ঞানীর। এই ঘটনায় প্রথম থেকেই অবসরপ্রাপ্ত ওই পুলিশ কর্মীর মোহনলাল ঘোষের গাফিলতিতেই দায়ী করে আসছিলেন আবাসনের বাসিন্দারা। এরপরেই তাকে গ্রেফতার করে পঞ্চসায়ের থানার পুলিশ।