ডেঙ্গি আতঙ্কে যেন পিছু ছাড়ছে না কিছুতেই। শীত পড়ে গিয়েছে। কিন্তু ডেঙ্গি যেন চোখ রাঙাচ্ছে এখনও। ফের ডেঙ্গিতে মৃত্যু এক বৃদ্ধার। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সোমবার দুপুরে মৃত্য়ু হয় ওই বৃদ্ধার। তাঁর বাড়ি পাটুলির ১১০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রণবানন্দ রোডে। মৃতের নাম মঞ্জুরিকা রায়। ৮০ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ফের ডেঙ্গি আতঙ্ক এলাকায়।
এদিকে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় এখনও মশার উৎপাত অব্যাহত। শীত কিছুটা পড়লেও কমেনি মশার উৎপাত। সন্ধ্যা হলেই ভনভন করছে মশা। সেক্ষেত্রে ডেঙ্গির আতঙ্কটা থেকেই গিয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এবছর ডেঙ্গি আতঙ্কে ভুগতে হয়েছে শহর কলকাতাকে। সেই আতঙ্ক কাটেনি এখনও। তবে শুধু শহর কলকাতা নয়, উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি, হাওড়া, মুর্শিদাবাদ, শিলিগুড়ি সর্বত্র মাথাচাড়া দিয়েছে ডেঙ্গির আতঙ্ক। একের পর এক মৃত্যুর জেরে উদ্বেগ বেড়েছে ক্রমশ। এবছর নভেম্বর মাসে ডেঙ্গির দাপট ছিল সবথেকে বেশি।
এদিকে এবার মশার বাড়বাড়ন্তের জেরে সমস্যায় পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। পুরসভা, স্বাস্থ্য দফতরের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এনিয়ে রাজনৈতিক তরজাও চলেছে পুরোদমে। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বার বার দাবি করেছেন সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি করাটা অন্যতম প্রয়োজন।সাধারণ মানুষ সচেতন না হলে কোনওভাবেই ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় বলেও জানানো হয়েছিল। পালটা বিজেপির তরফে এনিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগা হয়েছে। কিন্তু অবস্থার বিশেষ উন্নতি হয়নি।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে সাধারণত বেশি ঠান্ডা পড়লে, তাপমাত্রা কমে গেলে মশার বাড়বাড়ন্তও কমতে থাকে। সেক্ষেত্রে আরও ঠান্ডা পড়লে ডেঙ্গির আতঙ্ক অনেকটাই কমতে পারে। সেক্ষেত্রে এখন ঠান্ডাই ভরসা বঙ্গবাসীর।