মন্ত্রীত্ব আগেই খুইয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় একথা ঘোষণা করেছিলেন। পরের দিন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন দলের সব পদ থেকেও সরানো হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এবার এনিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
দিলীপের খোঁচা, মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় এই সিদ্ধান্ত নিতে চাননি। দলের মধ্যে বিদ্রোহের পরিস্থিতি তৈরি হওয়াতেই বাধ্য হয়েছেন মমতা। দাবি দিলীপের। ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ?
তিনি বলেন, দিদি সিদ্ধান্ত নিতে চাননি। তাই উনিও সইও করেননি। উনি ছিলেনও না। দলের মধ্যেই বিদ্রোহ শুরু হয়েছে। বাধ্য হয়েই তিনি মেনে নিয়েছেন। এর সঙ্গেই দিলীপের মোক্ষম প্রশ্ন, পাশে বসে এরকম ডাকাতি হচ্ছে অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানতেই না? দিলীপের সংযোজন, বিপদের দিনে যেভাবে পার্থর পাশ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরে গেলেন তাতে আর কেউ তাঁর উপর ভরসা করবেন না।
তবে তৃণমূল সূত্রে খবর, সেদিন মিটিংয়ে না থাকলেও মমতা বন্দ্যোধ্যায়কে জানিয়েই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। নেত্রীর নির্দেশ ছাড়া দলে কোনও সিদ্ধান্ত হয় না। এদিকে শুক্রবার জোকা হাসপাতালের বাইরে পার্থ জানিয়েছিলেন, দলের সিদ্ধান্ত দেখে নিন। এর সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করেছিলেন তিনি। এখানেই প্রশ্ন কারা সেই ষড়যন্ত্রের শরিক?