শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে এবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে সরব হলেন বিজেপির সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষও। শুক্রবার এক টুইটে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, গরুপাচারে সিবিআইয়ের সক্রিয়তা বাড়তেই সিআইডির তৎপরতা বাড়ল কেন? তবে কি তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করার জন্য সিআইডিকে ব্যবহার করছে রাজ্য সরকার?
এদিন দিলীপবাবু তাঁর টুইটে লিখেছেন, ‘তৃণমূলের শাসনকাল শুরুর থেকেই গরুপাচারের বাড়বাড়ন্ত হলেও এতদিন কেন তদন্ত করেনি সিআইডি? সিবিআই তদন্ত শুরু করতেই কি টনক নড়ল ওদের? না কি অনেক তথ্যপ্রমাণ যাতে সিবিআইয়ের হাতে পৌঁছনোর আদেই নষ্ট করে ফেলা যায় তার জন্য তদন্তের নাটক করছে সিআইডি?’
এর পরই দিলীপের প্রশ্ন, ‘প্রমাণ লোপাটের নির্দেশ কি নবান্নের ১৪ তলা থেকে এসেছে? তৃণমূলের দুষ্ট অভিসন্ধি বুঝতে পেরেই সিআইডি তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।’
তথ্যপ্রমাণ নষ্টের জন্যই সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কি না সেব্যাপারে নিশ্চিত না হলেও আইনজ্ঞদের মতে, গরুপাচারকাণ্ডে সিআইডি তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়ে সঠিক কাজ করেছে আদালত। তাঁদের মতে, ভারতের আইন অনুসারে একই অপরাধে ২টি পৃথক FIR দায়ের করা যায় না। সেক্ষেত্রে এই মামলায় ২টি আলাদা সংস্থা তদন্ত করলে সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়। যা দেশের আইন বিরোধী।