অয়ন শীলের ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি দেখে ইডি আধিকারিকরা দাবি করেছিলেন, এটা হিমশৈলের চুড়ো মাত্র। এই দুর্নীতির জাল আরও বিস্তৃত বলেই মেনে এসেছেন তদন্তকারীরা। এরই মধ্যে অয়নের থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বের করতে টানা জিজ্ঞাসাবাদ চালালেন তদন্তকারীরা। সেই জেরা থেকেই বেরিয়ে এসেছে বিস্ফোরক সব তথ্য। আদালতে ইডি দাবি করেছে, অত্যন্ত এক প্রভাবশালী ব্যক্তিকে অয়ন শীল ২৬ কোটি টাকা পাঠিয়েছিলেন। অন্তত ১৫ জন প্রভাবশালীর নাম পাওয়া উঠে এসেছে এই জেরা থেকে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া অয়ন শীলের সম্পত্তিরও খতিয়ানও আদালতে তুলে ধরে ইডি। (আরও পড়ুন: রেশন তোলার নিয়মে 'আমূল পরিবর্তন', রাজ্য সরকারকে 'বাইপাস' করে কী জানাল কেন্দ্র?)
ইডি আদালতে জানায়, অন্তত ১০০০ চাকরিপ্রার্থীর থেকে ৪৫ কোটি টাকা তুলেছিলেন অয়ন শীল। অন্তত ১৫ জন প্রভাবশালী অয়নকে চাকরির সুপারিশ পাঠাতেন বলে দাবি করেছে ইডি। এদিকে তদন্তের স্বার্থে আদালতে উক্ত ১৫ জন প্রভাবশালীর নাম প্রকাশ্যে আনা যাবে না বলে ইডি জানিয়েছে। এদিকে অয়নের জামিনের আবেদন খারিজ করে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন বিচারক। আদালতে ইডি জানিয়েছেন, মাত্র ১৩ দিনে অয়নের ৮টি ফ্ল্যাট, ৫টি গাড়ি, ১টি পেট্রল পাম্প ও ১টি হোটেলের সন্ধান পেয়েছেন গোয়েন্দারা। এই বিপুল টাকা তিনি কোথা থেকে পেলেন তা জানতে হবে। (আরও পড়ুন: কবে থেকে চার বছরের স্নাতক কোর্স চালু হবে রাজ্যে? বাংলার উচ্চশিক্ষা ঘিরে জল্পনা)
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাওয়া আরও সহজ হল, বড় নিয়ম বদল করল রাজ্য সরকার
এদিকে অয়নের ৪০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট দিয়ে প্রায় ৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। সেই টাকা কাদের কাছে পৌঁছেছে তাও খুঁজে বার করতে চায় ইডি। এদিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে অয়ন শীলের গ্রেফতারির পর ওএমআর শিট কারচুপি নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য পেয়েছে ইডি। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, যোগ্য প্রার্থীদের ওএমআর শিট ঠিক উত্তরের পাশে ভুল উত্তর চিহ্নিত করে তাদের নম্বর কমিয়ে দেওয়া হত। সেই জায়গায় টাকার বিনিময়ে নিয়োগ করা হত অযোগ্য প্রার্থীদের।