বিভিন্ন স্কুলে নিয়োগ হওয়া গ্রুপ ডি-র ১৬৯৮ জনকে নোটিস ধরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দিল স্কুল শিক্ষা দফতর। দফতরের পক্ষ থেকে ২৩ ডিসেম্বর একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেই নির্দেশ বিভিন্ন জেলার ডিস্ট্রিক্ট ইনস্পেক্টর (ডিআই)-কে পাঠানো হয়েছে। সম্প্রতি হাইকোর্টের এক নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। আদালত নির্দেশ দেয়, সিবিআই তদন্তে চিহ্নিত হওয়া ১৬৯৮ জন গ্রুপ ডি পদে কর্মরত ব্যক্তিকে নোটিস ধরাতে হবে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে এই ১৬৯৮ জনের নিয়োগে বেনিয়ম ধরা পড়ে।
স্কুল শিক্ষা দফতর এই নির্দেশিকাটির সঙ্গে তালিকায় থাকা সকলের নাম প্রকাশ করেছে। বর্তমানে তাঁরা কোন স্কুলে কাজ করছেন তাও জানানো হয়েছে। ডিআই-কে বলা হয়েছে চলতি সপ্তাহের শেষে তাঁদের কাজ শেষ করতে নির্দেশ দিতে। নির্দেশিকার সঙ্গে আদালতের কপিও জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
স্কুলে নিয়োগ দুনীর্তি নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্ত করতে নির্দেশ দেয় আদালত। সেই নির্দেশ মেনে আদালতে একটি রির্পোট জমা দেয় সিবিআই। সেই রির্পোটে দেখা যায় ১৬৯৮ জনে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা রয়েছে। এরপরই আদালত তাদের নোটিস ধরাতে বলে।
প্রশ্ন উঠছে এই নোটিসের কার্যকারিতা কী? প্রশাসনের একাংশ মনে করছেন, এই নোটিসের দিতে চাকরিপ্রাপক বর্তমান অবস্থা জানানো হচ্ছে। এর ফলে তাঁরা সযোগ পাবেন আদালতের সামনে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে।