চিংড়ি মাছ ও অন্যান্য মাছে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার রুখতে উদ্যোগী হল মৎস্য দফতর। মৎস্য চাষে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে টাস্ক ফোর্স গঠন করল মৎস্য দফতর। এই টাস্ক ফোর্স জেলায় ঘুরে ঘুরে মৎস্য চাষে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার খতিয়ে দেখবে। চিংড়ি-সহ অন্যান্য মাছ রফতানির ক্ষেত্রে নীতি নির্ধারণ সংস্থা ইউরোপিয়ান মিশন আগামী সেপ্টেম্বরে ভারতে আসবে। তারা এদেশের মৎস্য চাষ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখবেন বলে জানা গিয়েছে। তাই সেখানে যাতে কোনও রকমের গাফিলতি ধরা না পড়ে তার জন্যই এই ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন।
মৎস্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই টাস্ক ফোর্স কমিটির সদস্যরা যখন খুশি দোকানে হানা দিতে পারবেন। যে সমস্ত দোকানগুলিতে মৎস্য চাষের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং ওষুধ বিক্রি হয় সেই সমস্ত দোকানে এই টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা যেতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে সে ক্ষেত্রে বৈধ দোকানগুলি থেকে অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখবেন কমিটির সদস্যরা। এর পাশাপাশি যেসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে তার লেভেলিং ঠিক আছে কিনা তাও দেখবেন তারা। সে ক্ষেত্রে দোকানের কোনও গাফিলতি পেলে দোকান মালিককে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করতে পারে এই টাস্ক ফোর্স। এমনকি প্রয়োজনে লাইসেন্সও বাতিল করতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিদেশে রফতানি হওয়া মাছের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো চিংড়ি মাছ। আমেরিকা, জাপান এবং চিন বাংলার চিংড়ি কিনে থাকে। এর পাশাপাশি ইউরোপের বহু দেশেও বাংলার চিংড়ি বিক্রি হয়ে থাকে। কিন্তু, চিংড়ি মাছে অ্যান্টিবায়োটিকের সন্ধান পাওয়ায় বেশিরভাগ দেশই এই চিংড়ি মাছ কিনতে চাইছে না। তাই ক্রেতাদের স্বাস্থ্য এবং রফতানির কথা মাথায় রেখে চিংড়ি-সহ অন্যান্য মাছে ২০ রকমের অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে করা হয়েছে। এদেশে বেশ কিছু ক্ষেত্রে মাছের ক্ষেত্রে এই অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে ছাড় দেওয়া হলেও তা আবশ্য নির্দিষ্ট মাত্রায় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তা নিয়ন্ত্রণের জন্যই টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে মৎস্য দফতর।