আবার কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ফলকে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম না থাকা নিয়ে আজ, বুধবার রাজভবন থেকে কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেই বার্তা যে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে নিশানা করেই তা বুঝতে কারও অসুবিধা হয়নি। এমনকী বিষয়টি নিয়ে ফের সুর চড়ালেন রাজ্যপাল। নাম না করে উপাচার্যের কাজের বিরুদ্ধে রাজ্যপালের মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। ইউনেস্কো হেরিটেজ ঘোষণা করার পর যে ফলক লাগানো হয়েছিল সেখানে ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম। এই ঘটনা নিয়েই তুমুল সমালোচনার ঝড় উঠেছিল।
বিশ্বভারতীর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ফলকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম না থাকা নিয়ে আগে রাজ্যপাল কৈফিয়ত তলব করেছিলেন উপাচার্যের। এবার সেই বিষয়ে সুর চড়ালেন রাজভবনের বাসিন্দা। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ফলক পরিবর্তন না হওয়ায় আন্দোলনে নেমে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস। দফায় দফায় বিক্ষোভও দেখানো হয়। আবার উপাচার্য মুখ্যমন্ত্রীকে নজিরবিহীন ভাষায় আক্রমণ করে চিঠি লেখেন। তবে ফলককাণ্ডে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। আর তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থানে যোগ দেন বিশ্বভারতীর অধ্যাপক, আশ্রমিক ও প্রাক্তনীরা।
এদিকে বিশ্বভারতীর নাম–ফলক বিতর্কে গতকাল উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে বাড়ি টেনে বের করে আনার হুঁশিয়ারি দিলেন নানুরের প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক গদাধর হাজরা। তাঁর কথায়, ‘মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিলে আপনাকে বাড়ি থেকে টেনে বের করে বোলপুর–বীরভূম ছাড়া করতে বেশি সময় লাগবে না। আর এসব ফলকও থাকবে না।’ এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হন উপাচার্য বলে খবর। তবে উপাচার্যের এই কাজকে কেউ সমর্থন করছেন না। সুতরাং দিনের পর দিন ব্যাকফুটে যাচ্ছেন উপাচার্য। এবার রাজ্যপালও আবার সুর চড়ালেন।
আরও পড়ুন: কালীপুজোয় জাতীয় ও রাজ্য সড়কের উপরে তোরণ করা যাবে না, নিষেধাজ্ঞা জারি পুলিশের
ঠিক কী বলেছেন রাজ্যপাল? অন্যদিকে আজ রাজ্যপাল রাজভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানে এই বিষয়টি উঠতেই সুর চড়ালেন তিনি। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এদিন সুর চড়িয়ে বলেন, ‘কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে কোনও আপস মেনে নেওয়া যায় না। যাঁরাই জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছেন, প্রত্যেকের কাছে গুরুদেব একটি আবেগ। কোনও অবস্থাতেই গুরুদেবকে অবজ্ঞা মেনে নেওয়া যায় না। গুরুদেব আমাদের রক্তে। গুরুদেবের সম্মান খেয়াল রাখা প্রয়োজন।’ শান্ত গলায় রাজ্যপাল যা বললেন তা কিন্তু উপাচার্যের স্নায়ুর চাপ বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে।