আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্যুর শেষ হতে না হতেই রাজ্য–রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। মঙ্গলবার তাঁর একটি টুইট নিয়ে ফের শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যে টুইটের নিশানা্য স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে রাজ্যপাল রীতিমতো দাবি করেছেন, পরিকল্পনা আগেই করে রেখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাই ইচ্ছাকৃতভাবে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কলাইকুণ্ডায় রিভিউ বৈঠক বয়কট করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ এই টুইট করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
এই বৈঠক বয়কট করার প্রেক্ষিতেই আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে তলব করা হয়েছিল বলে মনে করেন রাজনীতির কুশীলবরা। আর তা নিয়ে কেন্দ্র–রাজ্য সংঘাত দেখা গিয়েছিল। এবার এই ইস্যুতে নয়া সংযোজন করলেন রাজ্যপাল। এদিন টুইটে তাঁর দাবি, ‘২৭ মে রাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে ফোনে জানিয়েছিলেন, বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী উপস্থিত থাকলে, তিনি থাকবেন না। ২৮ মে সেই পরিকল্পনা মতোই মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিব বৈঠক বয়কট করেন। বৈঠক সংক্রান্ত বিষয়ে অসত্য কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর এই পদক্ষেপ অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ব্যবহার যুক্তরাষ্ট্রীয় ঐতিহ্যের পরিপন্থী।’
ঠিক কী লিখেছেন রাজ্যপাল? রাজ্যপাল টুইটে লিখেছেন, ‘গত ২৭ মে রাত ১১টা বেজে ১৬ মিনিটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমায় একটি মেসেজ করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘আপনার সঙ্গে কথা বলতে পারি? খুব জরুরি। তারপরই উনি আমায় ফোন করে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ওই বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী থাকলে তিনি ওই বৈঠক বয়কট করবেন।’ এই টুইট নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্যপালের এই দাবি কি সত্য? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমনকী এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বক্তব্য না দেওয়া পর্যন্ত এমন আলোচনা চলতে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে রাজ্যপাল এখানেই থেমে থাকেননি। তিনি সদ্য প্রাক্তন মুখ্যসচিবের উদ্দেশ্যেও কড়া টুইট করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর দীর্ঘ ইতিহাসে ২৮ মে দিনটি ‘কালো দিন’ হিসেবে থেকে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর পর্যালোচনা বৈঠকে ধ্বংস হয়েছে দেশের গণতন্ত্র। অহং জিতল, পরাজিত নাগরিক পরিষেবা।’