সকালে নরম-গরমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চিঠি দিয়েছেন। দুপুরে অবশ্য মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্র-রাজ্যের সংঘাতকে একেবারে ‘নরম’ ভাবেই সামলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে একইসঙ্গে বলে দেন, ‘এটা নিয়ে আর কিছু বলতে পারব না। কারণ আমার হাতে কিছু নেই।’
সোমবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর পাশেই বসেছিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে একাধিক নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওঁনারাও (কেন্দ্র) তো আমাদের চিঠি দিয়েছিলেন। ওঁনাদের দিতে হবে না? এটা তো সৌজন্য। ওঁনারা তো আমাদের একটি চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন। সেজন্য আমরাও একটি চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। এটা তো রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে লাগাতার চলতে থাকা প্রক্রিয়া।’
সোমবার সকালে মোদীকে পাঁচ পাতার চিঠিতে আলাপনবাবুর তলব সংক্রান্ত নির্দেশ কেন্দ্রকে ফিরিয়ে নেওয়ার আর্জি জানান মমতা। কেন এখন আলাপনবাবুকে ছাড়া হচ্ছে না, তাও ব্যাখ্যা করেন। বাংলার মানুষের স্বার্থে আলাপনবাবুকে আরও তিনমাস মুখ্যসচিব পদে থাকতে দেওয়ার আর্জি জানান। পুরো বিষয়টিতে মোদীর হস্তক্ষেপের দাবি তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে কড়া ভাষায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, আলাপনবাবুর বদলির নির্দেশে তিনি হতবাক হয়ে গিয়েছেন। রাজ্যের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তোয়াক্কা করা হয়নি ১৯৫৪ সালের আইএএস আইনেরও।
সেই চিঠির রেশ ধরে জানতে চাওয়া হয়, মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ মতো কি আলাপনবাবু আগামী তিন মাস বাংলার মুখ্যসচিব থাকবেন? প্রত্যুত্তরে মমতা বলেন, ‘আমি আপনাকে এই প্রশ্নের উত্তর দেব না। সঠিক সময় উত্তর দেব। তবে আমি এটা বলতে পারি, আমরা ভারত সরকারের থেকে প্রথমে চিঠি পেয়েছি। তাই আমরা উত্তর পেয়েছি। এটা কেন্দ্র ও রাজ্যের দায়িত্ব। উন্নয়নমূলক কাজ, সংবিধানের নিয়মনীতি-সহ অন্যান্য কাজের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সর্বদা যোগাযোগ বজায় রেখে চলে।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘এটা নিয়ে আর কিছু বলতে পারব না। কারণ আমার হাতে কিছু নেই। আমায় কিছু বিস্তারিতভাবে জানানো হলে আপনাদের জানানো হবে। ’