বাড়ির মালিক নাকি না জেনেই কসবা কাণ্ডে ধৃত দেবাঞ্জন দেবকে ভাড়া দিয়েছিলেন। আদালতে এমনই দাবি করলেন দেবাঞ্জনের আইনজীবী। যদিও তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, দেবাঞ্জন যে জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত, সেই সব বিষয়ই জানতেন বাড়ির মালিক অশোক কুমার রায়। সব জেনেই তিনি দেবাঞ্জনকে বাড়ি ভাড়া দিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার আদালতে সরকারি আইনজীবী দাবি করেন, একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার সময়ে ইন্ট্রোডিউসর ছিলেন দেবাঞ্জনের ভাড়া বাড়ির মালিক অশোক কুমার রায়। তিনি দেবাঞ্জনের জালিয়াতির বিষয়টি ভালোভাবেই জানতেন বলে জেরায় উঠে এসেছে। পুলিশ জানতে পেরেছে, বাড়ি ভাড়া নেওয়ার সময়ে পুরসভার থেকে নেওয়া ট্রেড লাইসেন্স দেখানো হয়েছিল। ‘ইনস্টিটিউট অফ আরবান প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কেএমসি’ নামে ট্রেড লাইসেন্স করা হয়েছিল। কিন্তু অফিস ঘর ভাড়া নিলেও তাঁর বাইরে লাগানো ব্যানারে কোনও ইনস্টিটিউট শব্দটি লেখা ছিল না। যাতে কারও মনে কোনও সন্দেহ না হয়, সেটার জন্যই ইনস্টিটিউট শব্দটি না লিখে শুধুমাত্র ‘আরবান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড প্ল্যানিং ডেভেলপমেন্ট’ নামে কাজ চলত। যদিও দেবাঞ্জনের আইনজীবী দিব্যেন্দু ভট্টাচার্যের দাবি, দেবাঞ্জনের জালিয়াতির সম্পর্কে কোনও কিছুই জানতেন না বাড়ির মালিক অশোকবাবু।
এদিকে দেবাঞ্জনের আইনজীবীর আরও দাবি, দেবাঞ্জন নিজের পরিবারের লোকদের ভ্যাকসিন দিয়েছিলেন। ভ্যাকসিন নেওয়া যদি অপরাধ হয়, তাহলে সাংসদ মিমি চক্রবর্তীকেও গ্রেফতার করা উচিত। তিনি তো সবার আগে ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, এর আগে দেবাঞ্জনকে মানসিক রোগী বলে আদালতের কাছে পেশ করেছিলেন আইনজীবী। কিন্তু যেভাবে দেবাঞ্জনের একের পর এক কীর্তি মানু্যের কাছে চলে আসছে, তাতে এবার আরেক যুক্তি খাঁড়া করলেন তাঁর আইনজীবী।
এদিকে পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, কসবার অফিস থেকেই দেবাঞ্জনের জালিয়াতির সবকিছু প্ল্যানিং চলত। গত বুধবার কসবার অফিস থেকে কোভিশিল্ডের জাল লেবেল লাগানো প্রিন্ট উদ্ধার করা হয়েছে। অফিসেই যাতে প্রিন্ট করা যায়, সেজন্য কালার প্রিন্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কেনই বা এত বেশি করে প্রিন্ট করে রাথা হয়েছিল, সেবি্যয়টি দেবাঞ্জনের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করেন তদন্তকারীরা।