ভাঙড়ের বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি–সহ মোট ১৯ জনকে আজ, রবিবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে আনা হয়। এদের প্রত্যেককেই হেয়ার স্ট্রিট থানা গ্রেফতার করেছিল। ভাঙড়ের বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি–সহ মোট ১৯ জনকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে পেশ করার সময় আইএসএফ কর্মী–সমর্থকরা নিঃস্বার্থ জামিনের দাবিতে বিক্ষোভ দেখায়। ব্যাঙ্কশাল কোর্ট চত্বরজুড়ে তখন নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলা হয়। নৌশাদ সিদ্দিকি–সহ ১৯ জনকে এদিন হেফাজতে চাইল পুলিশ। ব্যাঙ্কশাল কোর্টে বিধায়কের জামিনের আবেদন করা হলে বিরোধিতা করে পুলিশ।
এদিকে ধর্মতলা চত্বরে যারা গোলমাল পাকিয়েছিল এবং বিধায়ককে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। রবিবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তাদের তোলা হয়। অপরদিকে ধর্মতলা থেকে ভাঙড় যাওয়ার পথে গ্রেফতার হওয়া ৪৩ জনকে তোলা হয় বারুইপুর মহকুমা আদালতে। তবে আইএসএফের আইনজীবী ব্যাঙ্কশাল কোর্টে জানান, ধৃতদের মধ্যে দু’জন নাবালকও রয়েছে। কীভাবে এই আদালতে পেশ? তাছাড়া বিধায়ককে জামিন দেওয়া হোক। তাঁকে অযথা গ্রেফতার করা হয়েছে।
অন্যদিকে সরকারি আইনজীবীর পাল্টা সওয়াল করে বলেন, ‘বউবাজার থানার ওসি, অ্যাডিশনাল ওসিকে খুনের চেষ্টা করা হয়। ধৃতদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। তাই ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে দেওয়া হোক।’ ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা–সহ ১৪টি ধারায় মামলা দায়ের করেছে কলকাতা পুলিশ। ইতিমধ্যে ব্যাঙ্কশাল আদালত চত্ত্বর মুড়ে ফেলা হয়েছে কড়া নিরাপত্তার বলয়ে। ইতিমধ্যেই গার্ডরেল দিয়ে ঘেরা রয়েছে আদালত চত্বর। এমনকী মূল ফটক বন্ধ করা হয়েছে। বাইরে জমায়েত করেছেন আইএসএফ কর্মীরা। তাঁরা নৌশাদ সিদ্দিকির নিঃশর্ত মুক্তি চাই বলে স্লোগান তুলেছেন।
পুলিশ যেসব ধারা এনেছে আইএসএফ কর্মী–সমর্থকদের বিরুদ্ধে সেখানে রয়েছে— বেআইনি জমায়েত, অস্ত্র নিয়ে গণ্ডগোলের চেষ্টা, সরকারি কর্মীদের কাজে বাধা দান, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা, সরকারি কর্মীদের উপর হামলা এমনকী খুনের চেষ্টা–সহ একাধিক গুরুতর অভিযোগ। যে সমস্ত ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে তার মধ্যে বেশিরভাগই জামিনঅযোগ্য বলে জানা গিয়েছে। তবে পুলিশের গাড়ি থেকে নেমে আদালতে ঢোকার সময় নৌশাদ সিদ্দিকি হুঙ্কার দেন, ‘মানুষের জন্য লড়াই করব’।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup