ঘটনা যখন প্রথমে টিভিতে দেখলাম বিশ্বাসই করতে পারিনি। কারও বাড়ি থেকে এত টাকা - রসদ বেরোতে পারে আমার কাছে কল্পনাতীত। সে যে দলেরই হোক, এরকম দুর্নীতির দৃশ্য টিভিতে কম দেখা যায়। এদের এখনই বর্জন না করা যায় তাহলে ২০২৪ সালে লড়াই করা মুশকিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘শেষ লড়াই’ নিয়ে এমন মন্তব্য করলেন তৃণমূলেরই রাজ্য সভার সাংসদ জহর সরকার। যা নিয়ে নতুন করে অস্বস্তি বাড়ল তৃণমূলের।
এদিন জহরবাবু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘটনা যখন প্রথমে টিভিতে দেখলাম বিশ্বাসই করতে পারিনি। কারও বাড়ি থেকে এত টাকা - রসদ বেরোতে পারে আমার কাছে কল্পনাতীত। সে যে দলেরই হোক, এরকম দুর্নীতির দৃশ্য টিভিতে কম দেখা যায়। তার সঙ্গে যখন দেখা গেল কিছু অন্য লোক এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। একটা নৈতিক ব্যাপার আছে। তাতে আরও খারাপ লাগল। আর এই নিয়ে লোকে মন্তব্য করবেই। লোকের মুখ তো বন্ধ করা যায় না। টাকা উদ্ধারের ছবি টিভিতে দেখে বাড়ির লোকেরা সাথে সাথে বলল, তুমি ছেড়ে দেও। সাংসদ পদ তো বটেই, রাজনীতিই ছেড়ে দেও। এখন রাজনীতিতে তো আমি তেমনভাবে আসিওনি’।
দীর্ঘদিন পর ফের মমতার মুখে পার্থর নাম! কী বললেন প্রাক্তন সতীর্থকে নিয়ে?
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ২১-এ মানুষের মতামত দেখে এসেছি। ১৯-এর পরে কিন্তু আমরা সবাই হতাশ হয়ে গিয়েছিলাম। আমরা পার্টি না করলেও, পার্টি না বুঝলেও এটা বুঝতাম যে আমাদের সামনে সব থেকে বড় শক্তি হল একটা ফ্যাসিবাদী শক্তি। একটি সাম্প্রদায়িক শক্তি যেটা ভারতবর্ষের মধ্যে ক্যান্সার ঢুকিয়ে দিয়েছে। এই শক্তিটাকে রোধ করতে গেলে কি কোনও রকম কোনও উপায় নেই? মরে যাব, কিন্তু ফ্যাসিবাদী শক্তির সঙ্গে আপোশ করতে পারব না।’
তিনি বলেন, ‘বন্ধুরা টিপ্পনি কাটল। হোয়াটসঅ্যাপে কত রকম জোক পাঠাল। বলল, তুই এখনও আছিস? কত পেয়েছিস? এই ধরণের লাঞ্ছনা জীবনে কখনওই শুনতে হয়নি।’ তাঁর কথায়, ‘সমস্ত পেশায় একশ্রেণির লোক ধান্দাবাজি করে। আমার পেশাতেও তারা ছিল। কিন্তু যে ভাবে করল এবার, সেটা সত্যিই দৃষ্টিকটূ।’
দীনেশ ত্রিবেদীর ছেড়ে যাওয়া রাজ্য সভার আসনে ২০২১ সালে তৃণমূলের টিকিটে সাংসদ হন জহর সরকার। প্রসার ভারতীর প্রাক্তন এই কর্তা বরাবরই বিজেপি বিরোধী স্পষ্টবক্তা হিসাবে পরিচিত। তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে মমতা বিরোধীদের স্বর আরও বলিষ্ঠ করেছেন বলে মন্তব্য করেছিলেন অনেকে। এবার সেই জহরবাবু স্পষ্ট ভাষায় মুখ খুললেন তৃণমূলেই বিরুদ্ধে।